জয়দেবপুরে মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার উদ্বোধন

জয়দেবপুরে মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার উদ্বোধন

গাজীপুর সংবাদদাতা:

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মরণে নির্মাণ হয়েছে মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন সাধারণ যাত্রীদের জন্য কর্নারটি উদ্বোধন করেন। জানা গেছে গাজীপুর জেলা পরিষদ ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় এটি নির্মাণ করেছে। নামফলকে লেখা হয়েছে তারুণ্যের আইডিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালন আমার চোখে জুলাই বিপ্লব মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার।

গত বছরের ১৮ জুলাই ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরার শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনলাসের শিক্ষার্থী ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঠিক আগে মুগ্ধের বিস্কুট ও পানি বিতরণের একটি ভিডিও সে সময় আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ করেছিল৷তার মৃত্যুতে সরকার পতনের আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়ে উঠে৷ গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গাজীপুর জেলা পরিষদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় এটি নির্মাণ করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী।

জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন বলেন মুগ্ধ কর্নারটি গাজীপুরের শ্রমজীবী মানুষের সুবিধার জন্য নির্মাণ হয়েছে। এর মাধ্যমে মুগ্ধের স্মৃতি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান ও পুলিশ সুপার যাবের সাদেক প্রমুখ।
এরআগে জেলার বিভিন্ন স্থানে জুলাই শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

ঘুষ লেনদেন: ভিডিও ভাইরালের পর এসআই প্রত্যাহার

ডেস্ক রিপোর্ট:

ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় ভিডিও ভাইরালের পর ফেনীর পরশুরাম মডেল থানার এসআই আবু ছৈয়দকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী নির্যাতন মামলার আসামির সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল হয়।

ভিডিওটি নজরে এলে তাৎক্ষণিক তাকে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান পরশুরাম থানার ওসি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই এসআই। তিনি টাকা নেননি বলে দাবি করেছেন।

সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুন উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী পান্না আক্তারকে পিটিয়ে জখম করেন একই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আবদুস সাত্তার (৫৫)। এ ঘটনায় ওইদিন ছাত্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পান্না আক্তার। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আবু ছৈয়দ। ঘটনার দিন পরশুরাম বাজারের হাসপাতাল রোডের আবদুস সাত্তারের বাসায় যান তদন্ত কর্মকর্তা। বাসার সিঁড়ির নিচে একান্ত কথোপকথনের এক পর্যায়ে টাকা লেনদেন করতে দেখা গেছে তাকে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভিতে তা রেকর্ড হয়।

ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি ভাইরাল হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায় আসামি আবদুস ছাত্তার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু ছৈয়দকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

অভিযুক্ত পুলিশের এসআই আবু ছৈয়দ বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গত ২২ জুনের। আসামি সাত্তার আমাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজের পকেটে থাকা টাকা বের করে সাত্তারকে দেখিয়ে বলেছি ‘টাকা আমার কাছে আছে, টাকা লাগবে না।’ আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি।

জানতে চাইলে আবদুস ছাত্তার বলেন, হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন। তদন্তে এলে যেকোনো অফিসার টাকা নেন। এ বিষয়টি আমি উনাকে বলেছি, তিনি সেখানে অনেক কথাবার্তার এক ফাঁকে উনার পকেটের টাকা বের করেছেন। এসআইকে টাকা দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও কীভাবে গণমাধ্যমে গেলো তিনি জানেন না বলেও জানান।

এ ব্যাপারে পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হাকিম জানান, অভিযুক্ত এসআইকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম