শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন: গণপূর্তের সাবেক অতি: প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

বিশেষ প্রতিবেদক

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতি: প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুর নানা প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন এর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এ সংক্রান্তে ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা ০৫.এর ১৩-১০-২০২২ তারিখে ২৫.০০.০০০০.০১৮.৯৯.০১৩.১৯-৩১০ নং স্মারকে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মো: মোতাহার হোসেন।
তিনি অভিযোগকারী ( দরখাস্তকারী) ও অভিযুক্ত সাবেক প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুকে আগামী ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ভবন নং ৫ রুম নং ৩১০ এ শুনানীর জন্য হাজির হতে নোটিশ প্রদান করেছেন। যার স্মারক নং ২৫.০০.০০০০.০৫৪.২৭.০১৬.২০২২-৮০ তারিখ ২২/১১/২০২২ইং।
উল্লেখ্য যে, সাবেক অতি: প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু চাকুরী করা কালে অনিয়ম ,দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এসব টাকায় তিনি খুলনা শহরে বিশাল মার্কেট, বহুতলা বাড়ী ও ঢাকায় আলীশান ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এ ছাড়া ভারতে তিনি প্রচুর টাকা পাচার করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বারবার তার সেল ফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। তবে তার স্ত্রী তাপসী বিশ^াস জানান, তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। উল্লেখ্য যে তার বিরুদ্ধে দুদকেও একটি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

মেঘনায় ইউপি সদস্যকে হত্যার চেষ্টা করায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মো.আনোয়ার হোসেন, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক এর উপর বর্বরোচিত চিহ্নিত সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুলাই,২০২৩) সকালে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড মেঘনা উপজেলা শাখার ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, আমরা মেঘনাবাসি সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

উল্লেখ্য, গত (৮ জুলাই, ২০২৩) শনিবার আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে নিজ বাইকে করে মেঘনা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে বড়কান্দা চৌরাস্তায় বাইক থামিয়ে অতর্কিত হামলা করে বড়কান্দা গ্রামের জলারপাড়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে হকিস্টিক ও সুইচগিয়ার দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত ইউপি সদস্যকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে আবু বক্কর সিদ্দিক মেম্বার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ নং বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের ৮ জন আসামি ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে উক্ত বিষয়ে ভিক্টিম আবু বক্কর মেম্বারের বোন বিউটি বাদী হয়ে মেঘনা থানায় জি.আর-৫২/২০২৩ইং মোকদ্দমা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, ১.মো.রফিকুল ইসলাম ওরফে রবি (৫৫), পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী।২.মো.আল-আমিন (৩০), পিতা-রফিকুল ইসলাম ওরফে রবি। ৩. নিলয় শাহা (২২), পিতা-লোকনাথ শাহা। ৪.মো.রিয়াদ (২৩), পিতা-হৃদয়। ৫.মো.আফজাল (৩০), পিতা-মৃত হোসেন বেপারী। ৬.লোকনাথ শাহা (৫৫), পিতা-হরি চন্দ্র শাহা। ৭.পলাশ চন্দ্র (২৪), পিতা-লোকনাথ শাহা। ৮.রুহুল আমিন (২৫), পিতা-রফিকুল ইসলাম ওরফে রবি।

বাদী পক্ষের নিয়োগকৃত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবির হাসান সোহেল এর সাথে মুঠোফোনে মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলার মোট আসামি ৮ জনের মধ্যে গত ১১/০৭/২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার ৬ জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ২ নং আসামী মোঃ আল আমিন , ৪ নং মোঃ রিয়াদ ও ৮নং রুহুল আমিনের জামিন আবেদন না-মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং ১নং আসামী রফিকুল ইসলাম ওরফে রবি সহ ৩ জনের জামিন মন্জুর করেন।

এ বিষয়ে বাদীনির সাথে যোগাযোগ করলে বাদিনী জানায়, তার ভাই মোঃ আবু বক্কর মেম্বারকে চিরতরে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং আসামি রবির হুকুমে রবি সহ সকল আসামী বেপরোয়া হয়ে গুরুতর জখম করে। ১নং আসামি জামিনে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে গেছে। বর্তমানে তার ভয়ে আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছিনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ৫ নং বড়কান্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিপন, মেঘনা শাখার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’র সভাপতি – মো. মাহাবুব শিকদার সহ উক্ত ইউনিয়নের সকল সদস্য প্রমুখ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম