স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন

গাজীপুর সংবাদদাতা:

গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা স্বামীর দুটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোরে বরমী মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী সুইটি আক্তার নিশি (২০) ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামের আফসারুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী নুরুল ইসলাম (৩৫) বরমী গ্রামের মো. শাহজাহান মৃধার ছেলে। নিহতের স্বজনরা জানান, দেড় বছর আগে সুইটি আক্তার নিশির সঙ্গে নুরুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার মাস বয়সি একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পরই সুইটি জানতে পারেন, তার স্বামী মাদকাসক্ত এবং এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এরপর থেকেই তাকে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতে হতো। পারিবারিক কলহও লেগেই থাকত। বুধবার রাত ১০টার দিকে বিয়ের ঘটক নাজমুল মোবাইল ফোনে সুইটির মৃত্যুর খবর দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা নুরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে সুইটির মরদেহ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং নুরুল ইসলামের মা জোবেদাকে আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের দুটি বাড়িতে আগুন দেয়। এতে আটটি কক্ষ ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেনঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কয়েদি-বিদ্রোহ ব্যাপক গোলাগুলি চট্টগ্রাম কারাগারে

মোহাম্মদ মাসুদ:

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। কয়েদিরা  পালিয়ে যেতে কয়েদিরা বিদ্রোহ করেছেন। কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘কে’ আদ্যক্ষরের এক সিনিয়র কারারক্ষী জানান, কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারারক্ষীরা এ সময় ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েন। পরে সব কয়েদিদের মারধর করে স্ব স্ব ভবনের রুমে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন তারা। তবে সাঙ্গু ভবনের দেয়াল ও অনেক ভবনের রুমের লোহার গেইট ভাঙতে চেষ্টা করেন কয়েদিরা। এতে নড়েচড়ে গেছে অনেক লোহার গেইট। সেনা ও জেলা কারাগার কতৃপক্ষের ৩০ মিনিটের চেষ্টায় পরে শান্ত হয় জেলা কারাগারের পরিবেশ।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ কারাগারের ভেতরের সাঙ্গু ভবনের দেয়াল কুঁচিয়ে ইট বের করে কয়েদিরা। তারপর ইট গুলো গুড়ি করে কারারক্ষীদের দিকে ছুঁড়তে থাকে ওই ভবনের ৯০০ কয়েদি। একই সময়ে সব ভবনে থাকা কয়েদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে পালিয়ে যেতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারা কতৃপক্ষ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। তাৎক্ষণিক একদল সেনাবাহিনীর মাত্র ৫ জন সদস্য কারাগারে প্রবেশ করে চেষ্টা করেন পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টিম আসে। আসামিরা পালাতে বিদ্রোহ করছে, কেউ পালাতে পারেনি, বাহির থেকেও কেউ ভেতরে প্রবেশ করেনি।

টহল ডিউটিরত সেনা কর্মকর্তা বলেন, খবর পাবার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম