নেশাগ্রস্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন মা

নেশাগ্রস্ত ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন মা

ঝালকাঠি সংবাদদাতা:

ঝালকাঠির নলছিটিতে নেশাগ্রস্ত ছেলে সোহাগ জোমাদ্দারের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নিজেই ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন মা ফরিদা বেগম। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযোগের ভিত্তিতে নলছিটি থানা পুলিশের একটি টিম ছেলেকে আটক অভিযান চালায়। অভিযোগকারী ফরিদা বেগম (৫২) উপজেলার মাদারঘোনা এলাকার বাসিন্দা মো. হানিফ জোমাদ্দারের স্ত্রী। তাদের ছেলে সোহাগ জোমাদ্দারের (৩২) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মা ফরিদা বেগম। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মা ছেলেকে গ্রেপ্তার করাতে চাইলে ছেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তালতলা বাজার থেকে তাকে আটক করে নলছিটি থানায় সোপর্দ করেন মা।

অভিযোগে ফরিদা বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে সোহাগ কোনো ধরনের কাজ না করে মায়ের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করার চেষ্টা করে আসছে। টাকা না দিলে সে গালিগালাজ করে এবং ঘরের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সে ফরিদা বেগমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে ঘরে আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী মা বলেন, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় পুনরায় টাকা চাওয়ায় মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহাগ লাঠি নিয়ে হামলার চেষ্টা করে এবং ঘরের বিভিন্ন আসবাবাপত্র ভাঙচুর করে ও কাপড়-চোপড় পুড়িয়ে দেয়। এতে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ফরিদা বেগম আরও বলেন আমার ছেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দাবি করে যা আমার সাধ্যের বাইরে। টাকা না দিলে গালিগালাজ করে মারধর করে। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ করেছি এবং নিজেই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন অভিযুক্ত সোহাগকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। মা নিজে উপস্থিত থেকে ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছেন। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিথ্যা মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ এস আই দোলোয়ারে বিরুদ্ধে

মনির হোসেন:

ঢাকা কেরানীগঞ্জে এক যুবককে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই মো. দেলোয়ার এর বিরুদ্ধে। গত ৩ মে একটি মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। যাহার মামলা নং- ০৯/৩১৬। তিনি কাজির গাঁও কোন্ডা ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বাসিন্দা। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্ত্রী শান্তা মনি সোমবার আইজিপি কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে শান্তা মনি উল্লেখ করেন, এসআই দেলোয়ার এর এক সোর্স রয়েছে। আমার স্বামী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতো। স্ত্রী, এক ছেলে নিয়ে কোনোরকমে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। হেরোইন বিক্রি তো দূরের কথা ১২ বছরের সংসার জীবনে তাকে কোনোদিন গাঁজা খেতেও দেখেননি ।

তিনি আরো বলেন, আমার জামাই কে গ্রেফতারের পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন আমাকে কল করে ঘটনাস্থলে আসতে বলে, পরবর্তীতে আমি এসে দেখি আমার জামাইয়ের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগানো। পরে পুলিশের এই কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে নগদ ৮০,০০০ (আশি হাজার) টাকা দাবি করেন। এবং তিনি বলেন আমি টাকা দিলে আমার জামাইকে সে ছেঁড়ে দিবেন কিন্তু আমার কাছে তখন টাকা ছিল না তাই তাঁরা আমার জামাইকে মিথ্যা মামলা দেয়। এস আই দেলোয়ার তখন আমাকে বলেন, টাকা যেহেতু তুই দিলি না আমি তোর জামাইয়ের লাইফ নষ্ট করে দিবো। আমি তাকে তার বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করার জন্য ও নিষেধ করতাম।

গ্রেফতারকৃত আনোয়ার স্ত্রীর আরো বলেন, মাদকের মিথ্যা মামলার বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেছি আল্লাহ্ যদি সহায় হয় অবশ্যই আমি ন্যায় বিচার পাবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই দেলোয়ার মুঠোফোনে বলেন, আমি তো অনেক দূরে স্থানান্তর হয়ে এসেছি। আনোয়ার আসলেই একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আমি মাদকসহু গ্রেফতার করেছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি