নিখোঁজের ৪৩ ঘন্টা পর সাবেক ক্রিকেটারের মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৪৩ ঘন্টা পর সাবেক ক্রিকেটারের মরদেহ উদ্ধার

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:

মৌলভীবাজারে বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মনু নদী পারাপারের সময় নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হবার ৪৩ ঘন্টা পর জেলার এক সময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার মছব্বির আহমদের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মরদেহ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাগ ইউনিয়নের ফেচুর বাজার এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনু নদীর পালপুর খেয়া ঘাটে নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। নিহত মছব্বির আহমদ সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর (কালেঙ্গা) গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা দলের সাবেক জনপ্রিয় ক্রিকেটার মছব্বির গত বুধবার (৬ আগস্ট) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মিরপুর গ্রামে অবস্থিত তার এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মনু নদীর পালপুর খেয়া ঘাটে নৌকা নিয়ে পারাপারের সময় আকষ্মিক নদীতে পড়ে তলিয়ে যান। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও তার স্বজনরা পুরো নদীর মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে শুরু করে ভাটির দিকে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রানীগঞ্জ পর্যন্ত খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত দোকানপাটে মছব্বির আহমদের ছবি ও যোগাযোগের মোবাইল নম্বর দিয়ে সন্ধান পেলে জানানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। অবশেষে শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে নিহতের স্বজন ফুল মিয়ার মোবাইল ফোনে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাগ ইউনিয়নের ফেচুর বাজার এলাকা থেকে জনৈক ব্যক্তি জানান, কুশিয়ারা নদীতে এক পুরুষের মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা ওই এলাকায় গিয়ে মরদেহটি মছব্বির আহমদের বলে সনাক্ত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহতের বড় ভাই মো. আলাল মিয়া বলেন, ‘মছব্বির বুধবার বিকেলে তার এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোাজ হয়। রাত ১টার দিকে আমাকে ফোনে জানানো হয় মছব্বির মাঝি ছাড়া একাই নৌকা নিয়ে নদী পারাপারের সময় নদীর পানিতে ডুবে যায়। বিষয়টি আমরা মৌলভীবাজার থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। আমরা, স্থানীয় লোকজন, পুলিশ জেলা ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ব্যাপক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাচ্ছিলাম না। অবশেষে শুক্রবার আমরা শেরপুর এলাকায় খোঁজাখুজির সময় মোবাইল ফোনে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ এলাকায় কুশিয়ারা নদীতে একজন পুরুষের লাশ ভাসছে এ খবর পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে আমার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে।’

মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মছব্বির নিখোাজ হওয়ার ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালাই। পরে শুক্রবার নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী নিহতের স্বজনদের খবর পাঠান বলে জানতে পেরেছি।’

সেন্টুকে ‘খুনী’ আখ্যা ছাত্রদল নেতা নাজমুলের, দাবি জানালেন গ্রেফতারের

স্টাফ রিপোর্টার:

ফতুল্লার কুতুবপুরের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল নেতা নাজমুল৷ বিগত ১৬ বছর শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় থাকা সেন্টুকে ‘খুনী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেন্টুকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানান জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই সহসভাপতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার দেয়া ওই স্ট্যাটাস ঘিরে তোলপাড় চলছে ফতুল্লা ও কুতুবপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে৷

সেন্টুকে শামীম ওসমানের ‘ছোট ভাই’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন নাজমুল। অবশ্য নাজমুলের এই দাবিকে ‘যুক্তিসঙ্গত’ বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, শামীম ওসমান নিজে সেন্টুকে  ‘ছোট ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রায়ই৷ এদিক দিয়ে অবশ্য সেরের উপর সোয়া সের ছিলন সেন্টু। শামীম ওসমানকে ‘পীর’ আখ্যায়িত করে একবার ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন৷ এরপরেও শামীম ওসমানকে নিয়মিতই ‘শ্রদ্ধেয় বড় ভাই’, রাজনৈতিক অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ শামীম ওসমানের দয়াতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন সেন্টু নিজেই৷

আর সেই সেন্টুই পটপরিবর্তনের পরে এবার বিএনপিতে ফিরতে মরিয়া৷ চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রে। সেখানে নিজেকে ‘ত্যাগী’ উল্লেখ করে শামীম ওসমানের প্রেমে দলত্যাগের কথা উল্লেখ করেননি৷ একইভাবে চেপে গেছে নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়া, পীর শামীম ওসমানের মুরিদ হওয়ার বিষয়টিও৷ এসব দেখেশুনেই ক্ষেপেছন ছাত্রদল নেতা নাজমুল৷ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কেন্দ্রীয়  বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কিভাবে আওয়ামী লীগের দোসর, শামীম ওসমানের ছোট ভাই মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপির প্রোগ্রাম ও ব্যানার  করতে সাহস পায়? যার হাত ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত এখনো, ছাত্র হত্যা মামলার আসামি সে কুখ্যাত খুনি সেন্টু বহিষ্কার প্রত্যাহার কিভাবে আবেদন করে ?
আমি বিএনপি’র ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আপনাদের কাছে আবেদন জানাই তাকে যেন অতি শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হয়।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।।

জানা যায়, সেন্টুকে প্রতিরোধের যাবতীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা কোনোভাবেই আর সুবিধাবাদী সেন্টুকে বিএনপির নাম ব্যবহার করতে দিতে রাজি নন৷ আওয়ামী দোসর সেন্টুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগও নিচ্ছেন তারা৷ এখন দেখার বিষয়, নৌকার সেন্টু নৌকা থেকে নেমে ধান চাষে নামতে পারেন কি না!

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম