ময়মনসিংহ সংবাদদাতা:
ময়মনসিংহ নগরীর মৃত্যুঞ্জয় স্কুল এলাকায় ১৬৯৯ সালে নির্মিত একটি প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সম্প্রতি পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল-এর একটি প্রতিনিধি দল মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করার ঘোষণা দেন। ১৫ শতকের মাঝামাঝি ইউরোপে মুদ্রণ শিল্পের সূচনা হয়। ১৪৫০ সালে জার্মান উদ্ভাবক জোহানেস গুটেনবার্গ ধাতব চলনশীল অক্ষর ব্যবহার করে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করলে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। ভারতীয় উপমহাদেশে ১৫৫৬ সালে গোয়ায় পর্তুগিজরা প্রথম ছাপাখানা স্থাপন করে। ধীরে ধীরে এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ে এবং মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে প্রভাব ফেলে প্রাচীন নগরী ময়মনসিংহেও।
প্রাচীন এই মুদ্রণযন্ত্রটি বর্তমানে রাস্তার পাশে অবহেলায় পড়ে আছে। অনেক মূল্যবান অংশ ইতোমধ্যেই চুরি হয়ে গেছে, বিশেষ করে মাদকসেবীদের হাতে। কে বা কারা এটি এখানে রেখেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য মেলেনি। পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যদি মুদ্রণযন্ত্রটি সংরক্ষণ করে প্রদর্শন করা হতো, প্রজন্ম জানতে পারতো প্রাচীন মুদ্রণ কৌশল ও ময়মনসিংহে মুদ্রণ শিল্পের শুরুর ইতিহাস। কিন্তু অবহেলায় পড়ে থাকায় ইতিহাস থেকে প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছেন। সভাপতিমণ্ডলী সদস্য অধ্যাপক স্বপন ধর বলেন, এভাবে অবহেলায় থাকলে ভবিষ্যতে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ময়মনসিংহে অনেক পুরাকীর্তি অবহেলায় ধ্বংসের পথে।
প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রসহ ময়মনসিংহের অন্যান্য পুরাকীর্তি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে জাদুঘরে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে কমিটি। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক স্বপন ধর, আব্দুল কাদের চৌধুরী, কবি সরকার আজিজ, গোলাম ফারুক লিটন, মো. নুর আলী চিশতি, ইমতিয়াজ আহমেদ, কবি আফতাব আহমেদ মাহবুব, মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, সাংবাদিক শফিয়েল আলম সুমন, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন আল মাছুম, মো. এনামুল কবীর, নিহার রঞ্জন দাস প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.