জিরো রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়

জিরো রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়

ডেস্ক রিপোর্ট:

আয়কর রিটার্নে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো ব্যবস্থা নেই এবং শূন্য আয়ের তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত গোপন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এনবিআর। ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে আলোচনা চলছে তা ভুয়া। এমন ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কতিপয় ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ সকল পোস্টে রিটার্ন পূরণের সবকয়টি ঘর “শূন্য” হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় মর্মে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। এসকল ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন মর্মে জানা যায়।

এতে আরো বলা হয়েছে, করদাতাগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে। করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোনো একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ।

করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তার আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানিয়েছে, করযোগ্য আয় না থাকলেও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক-শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই।

সংস্থাটি মনে করিয়ে দিয়েছে, সঠিক তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনগত দায়িত্ব। দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে সৎভাবে রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানিয়ে এনবিআর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো ‘জিরো রিটার্ন’-এর প্রলোভন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শূন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোনো সুযোগ আয়কর আইনে নেই।

রোজার আগেই লেবুর বাজারে আগুন, হালি ১২০!

স্টাফ রিপোর্টার: রমজান এবং গরমকে কেন্দ্র করে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা বেড়েছে লেবুর। এ অবস্থায় রোজার ঠিক আগ মুহূর্তে লেবুর দাম কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহেও যে লেবুর দাম ছিল ২০-৩০ টাকা হালি, সেটি এখন কিনতে সর্বনিম্ন গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আর আকার-আকৃতি, জাত ও মানভেদে হালিপ্রতি লেবু ৮০, ১০০ এমনকি ১২০ টাকাও দাম চাওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচা বাজারের ভেতর ও বাইরের দোকানগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন আকার আকৃতি এবং জাতের লেবু এনেছেন বিক্রেতারা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে এলাচি লেবু (লম্বা আকৃতির লেবু)। এরসঙ্গে কলম্বো (গোল আকৃতির লেবু), কাগজী লেবুও রয়েছে। অধিকাংশ দোকানেই লেবুর দাম নির্ধারিত হচ্ছে আকৃতি ভেদে। লেবু যত বেশি বড় দামও তত বেশি। তবে যেকোনো জাতের লেবুতে সর্বনিম্ন ৬০-৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিভাবেই বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে লেবু। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আবার রোজা ও গরমের কারণে চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে অনেক ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত লেবু পাননি। যা লেবুর দামে প্রভাব ফেলেছে।

রবিউল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমি ৪ ধরনের লেবু এনেছি। এর মধ্যে একটি জাতের আকার সবচেয়ে বড়। সেটি কিনতে হয়েছে হালি ১০০ টাকা। লম্বা বড় জাতের লেবুর হালি ৮০ টাকা। আর ছোট-মাঝারি আকৃতির লেবুর হালি ৬০ টাকা। এটিই সর্বনিম্ন দাম। সবচেয়ে ছোট লেবুও ১৫ টাকা পিস হিসেবে পাইকারি মার্কেটে দাম চেয়েছে। আমাদের কিছুই করার নেই। প্রতিবছরই রোজার শুরুতে এরকম বাড়তি দাম থাকে।

আরিফ বিল্লাহ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, দাম যেমন বেশি তেমন মানও ভালো। প্রতিবছরই রোজার আগে দাম এরকম বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন গরম শুরু হয়েছে শরবতের জন্যও ব্যাপক চাহিদা। পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেও যেই লেবু ৪০ টাকা হালি ছিল সেটি এখন ৮০-৯০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। রোজার মাস ধরে এমন চড়াই থাকবে। আবার পাহাড়ি লেবু বাজারে নামলে তখন দাম কমে আসবে।

লেবুর বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। মোমেনা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ রোজার বাজার করেছি। এখন লেবু কিনতে এসেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানের লেবুর হালি ৮০ টাকা চাচ্ছে। আর সাইজে বড়গুলো ১০০ টাকা চাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ৮০ টাকায় এক হালি নিতে হলো। দাম কমলে আবার নেবো। রমজান মাসজুড়ে লেবুর বাড়তি দাম থাকলে শরবতের ক্ষেত্রে লেবুর বদলে অন্য উপাদানের শরবতে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি