বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেবে এসএসএফ, সংসদে বিল

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী-এসএসএফের নিরাপত্তা দিতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এতোদিন তাদের অনেকেই পুলিশের নিরাপত্তা পেয়ে আসছিলেন। নতুন আইন অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ কর্মকর্তারা একজন ওসির মতো ক্ষমতা অর্থাৎ তল্লাশি, আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও পাবেন।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংসদীয় কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ সংক্রান্ত ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করেন।

বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৮৬ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে বর্তমানে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সামরিক আমলে প্রণীত ওই আইন বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।

বিলে জাতির পিতার পরিবারের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের সন্তানাদি ও ক্ষেত্র মতো ওই সন্তানাদির স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের সন্তানাদি।

আগের বিষয়গুলোকে প্রস্তাবিত আইনে রাখার পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান।

সরকারি গেজেট দিয়ে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও এই আইনের অধীনে নিরাপত্তা পাবেন।

বিলে বলা হয়েছে, এসএসএফ’র তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত থাকবে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ‘তল্লাশি, আটক, ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসহ থানার একজন ওসির যেসব ক্ষমতা আছে, এসএসএফের একজন কর্মকর্তার এই আইনের অধীনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সারা দেশে সেই ক্ষমতা থাকবে।’

বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, এসএসএফ তাদের দৈহিক নিরাপত্তা দেবে।

এসএসএফ তার কাজের প্রয়োজনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও সহায়তা চাইতে পারবে। যাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে তাদের তা দিতে হবে বলে খসড়া আইনে বলা হয়েছে।

জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এ যাই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

 

জামায়াত আমিরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট:

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২০শে জুলাই, রবিবার, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে তিনি এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির উল্লেখ করেন যে, শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর প্রধান উপদেষ্টা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার প্রেস সচিবকে হাসপাতালেও পাঠিয়েছেন। ডা. শফিকুর রহমান এই সহমর্মিতাকে ‘স্মরণীয়’ বলে অভিহিত করেছে

ন।

অসুস্থতার সময় খোঁজখবর নেওয়ায় অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা
এছাড়া, আরেকটি পৃথক পোস্টে জামায়াত আমির আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার অসুস্থতার খবর পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি তার খোঁজখবর নিয়েছেন ও দোয়া করেছেন। হাসপাতালে স্বল্প সময় অবস্থানকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরও জানান, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, খেলাফত মজলিসের আমির হযরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, খেলাফত আন্দোলন, এনসিপি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে জামায়াত আমির এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি উঠে কথা বলেন এবং পরে সমাবেশ শেষে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম