প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সুযোগ প্রদানের দাবি

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সুযোগ প্রদানের দাবি

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের দাবিতে দেশব্যাপী সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (গভঃ রেজিঃ নং এস-১০২৮/৯৮) মৌলভীবাজার জেলা শাখা। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি মো. এহসানুল হক (এহসান বিন মুজাহির)।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্মারক নং-৩৮.০১.০০০০.১০৭.৩৩.০০১.২০২৫ তারিখ ১৭/০৭/২০২৫-এ জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষায় যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী অবদান রাখা কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার পরিপত্রটি বৈষম্যমূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বৃত্তি শুধু একটি আর্থিক অনুদান নয়-এটি একটি শিশুর আত্মবিশ্বাস, সামাজিক স্বীকৃতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির অনুপ্রেরণা। যখন একটি শিশু দেখবে তার বন্ধুরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে কিন্তু সে নিতে পারছে না শুধুমাত্র তার বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির ধরণ ভিন্ন বলে, তখন তা তার মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি শিশুদের মধ্যেই একটি বৈষম্যমূলক মনোভাব গড়ে তোলে, যা জাতীয় শিক্ষানীতির সাম্যের নীতির পরিপন্থী। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের উপর যে মানষিক চাপ ও যন্ত্রণার সম্মুখীন হয় তার সকল দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা মানে কেবল স্বাক্ষরতা নয়। ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে দেওয়া। সেই ভিত গড়ার প্রথম ধাপেই যদি বৈষম্য শুরু হয়, তাহলে আমরা কিভাবে সমতার সমাজ গড়বো?”

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, “শিক্ষা শিশুদের মৌলিক অধিকার। কোন শিশুকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। জুলাই বিপ্লবে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈষম্য বিরোধী সরকার। বিধায় বর্তমান সরকারের সময়ে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আবার সেই বৈষম্যের শিকার হোক এটা অপ্রত্যাশিত। বিগত ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখের পরিপত্রটি বাতিল করে ২০২৫ এ অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাসহ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য গৃহীত অন্যান্য যেকোনো কার্যক্রমে প্রাথমিক শিক্ষায় অংশীজন হিসেবে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমঅধিকার যেন অক্ষুন্ন থাকে সে বিষয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় আগামী ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়িত করার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এর ভেতরে দাবি আদায় না হলে দেশব্যাপী পরবর্তী কর্মসূচি দিবে কেন্দ্রীয় সংগঠন। আর সেসব কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করবো।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি আলী আহমদ, অর্থ সম্পাদক আশিকুর রহমান চৌধুরীসহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ। সংবাদ সম্মেলন শেষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মাকলিপি প্রদান করা হয়।

এদিকে একই দিন রাজনগর জুড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় একই দাবিতে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (গভঃ রেজিঃ নং এস-১০২৮/৯৮) উপজেলা কমিটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এইচএসসি পুনর্নিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল আজ প্রকাশিত হবে। যেসব শিক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন, তারা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে ফল জানতে পারবেন।

ফল জানার পদ্ধতি:

দুইটি পদ্ধতিতে পুনর্নিরীক্ষণের ফল জানা যাবে:  
১. এসএমএসের মাধ্যমে: ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছিল, সেই নম্বরে বোর্ড থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

২. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে: শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল দেখতে পারবেন।

গত ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন নেয়া হয়। বোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। কেবল পরীক্ষকদের দেয়া নম্বরগুলো সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হয়।প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার মূল ফল প্রকাশিত হয়। এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ফলাফল এসএমএসের পাশাপাশি ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বোর্ড। বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

সবা:স:জু-১০২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম