তারিখ লোড হচ্ছে...

বড় বড় ব্যানারে নিজের ছবি না দিয়ে, আলোচনায় দেবু

চট্টগ্রাম শহর ঘুরে মুহাম্মদ আবু আবিদঃ

দেবাশীষ পাল দেবু, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগ নেতা। কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা সিধান্তের আগ থেকে তিনি ই একমাত্র যিনি কোন পদে না থেকেও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর ব্যানারে একের পর এক নিয়মিত মানবিক কাজ সম্পন্ন করেছেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর স্বপ্ন ‘মানবিক যুবলীগ’ বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে মানুষের পাশে থেকেছেন।

করোনাকালীন সময়ে প্রতিদিন মাঠে থেকে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। দেবাশীষ পাল দেবু’র ইউনিক কার্যক্রমে পত্র-পত্রিকায় নিউজ হয়েছেন বহুবার।

নগরীর ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফলে ব্যাপক প্রচার শুরু হয়েছে। নগর ও জেলাজুড়ে ব্যাপক পোস্টারিংয়ের পাশাপাশি বিলবোর্ড, ব্যানার ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে মাইকিং।

এবারও দেবাশীষ পাল দেবু সমাবেশ সফল করতে ব্যানার করে নজর কেড়েছেন সবার। ব্যানার, ফেস্টুন অনেকে করলেও দেবাশীষ পাল দেবু নিজের ছবি ছাড়া করে আবারও আলোচনায় এসেছেন।

নগর ঘুরে দেখা যায়, তার ব্যানারে শুধুমাত্র নিজের নাম আছে, ছবি আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ ফজলুল হক মনি ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর। কিছু কিছু ব্যানারে যোগ হয়েছে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর ছবি।

নিজের ছবি একেবারেই না রেখে নজর কেড়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাই হওয়া উচিৎ। নিজের প্রচারণায় ব্যস্ত না থেকে দলের প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেই মানুষ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন।

মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকারে পুলিশ সাংবাদিক অবরুদ্ধ

মোহাম্মদ মাসুদ :

চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকারের জেরে পুলিশ সাংবাদিক অবরুদ্ধ। বলাৎকারের শিকার শুলকবহর জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ নজরুল ইসলামের (১১) পিতা মোঃ মুছার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় করা সাধারণ ডায়েরি ও মুঠো ফোনে আলাপে জানা যায়।
২৩সেপ্টেম্বর শনিবার মাদ্রাসায় ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে প্রশাসন সাংবাদিকসহ গনমাধ্যম কর্মীদের ও অভিভাবক’কে ঘটনাস্থলে প্রবেশ ও ছবি,ভিডিও ধারনের অজুহাতে সাংবাদিক ও পুলিশের উপর জুতা,ইট নিক্ষেপ করেছে।এসময় ধারনকৃত ছবি,ভিডিও ডিলেট করানো’সহ পুলিশ,সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

ছাত্ররা,ধারনকৃত ছবি,ভিডিও ডিলেট করানো হয়।এবং কিছু পুলিশ,সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
বিগত ১১ আগষ্ট শুক্রবার আমার ছেলে নজরুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কাশেম কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হয়। এই বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালক,শিক্ষক পরিচালক ও তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দিনের মাধ্যমে মাদ্রাসার সম্মান রক্ষার্থে অভিযোগ করেও প্রত্যাহার পূর্বক বিষয়টি সুরাহা হয় এবং অভিযুক্ত শিক্ষক থানায় অপরাধ শিকার করায়।শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

২৩সেপ্টেম্বর শনিবার ওই মাদ্রাসার অপর শিক্ষক আব্দুল্লাহ আমার ছেলে নজরুল ইসলামের ক্লাস শিক্ষক না হয়েও তাকে ডেকে নিয়ে পূর্বের ঘটনার জানতে চাপাচাপি করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এবং সেই ভিডিও মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা হারুন কে দেখান পরবর্তীতে মাদ্রাসা পরিচালক আমাকে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে যায় এবং বলেন আপনার ছেলের সাথে কোন ধরনের ঘটনা অতিতে ঘটেনি বলে আপনার ছেলে বলছে ভিডিও স্বীকারোক্তিতে।

তখন আমি বললাম আগের ঘটনাটি আপনারা মাদ্রাসার সম্মানের স্বার্থে কাউকে না জানাতে এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে জানিয়েছেন বিধায় ২/৩ হাজার ছাত্র ও দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বদনাম না রঠানোর জন্য, সুনাম রক্ষার্থে গোপন রাখতে বলেছিলেন সেই হিসেবে আমার ছেলেকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে আমি এ বিষয়ে কোন কিছু কাউকে না বলতে বলি।

এখন আপনারা যদি এইসব নিয়ে পুনরায় ঘাটাঘাটি করেন তাহলে তো আমাকে ছেলের পড়ালেখা বন্ধ করে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। পরবর্তীতে মাদ্রাসা পরিচালক শিক্ষক আব্দুল্লাহকে তিরষ্কার করে এই বিষয়ে আর কোন ধরনের ঝামেলায় না জড়াতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় আমি ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসি এবং শনিবার ২৩শে সেপ্টেম্বর পুনরায় সকালের দিকে বড় ছেলে শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিই।

মাদ্রাসা থেকে ফিরে আমার বড় ছেলে আমাকে জানায় ছোট ভাই নজরুলের খাওয়া,দাওয়ার নিয়মম বন্ধ করে দেওয়া হইছে মাদ্রাসায়। তখন আমি এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক পরিচালক তৈয়ব শাহ’র নিকট ফোনে জানতে চাইলে তিনি নাজেম হুজুরের সাথে কথা বলতে বলেন। উক্ত হুজুরের নাম্বার নিয়ে কথা বলতে চাইলে উনি বিকেলে যোগাযোগ করতে বলেন। আবার ফোন করে বলেন রাতে এশার নামাজের পর দেখা করতে। পরবর্তীতে আমি মাদ্রাসায় গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন হুজুররা এর সদুত্তর দিতে পারেননা। তৎক্ষণাৎ আমি মাদ্রাসা থেকে বাহিরে আসার সময় অভিযোগে উল্লেখিত হুজুর আবদুল্লাহ আমাকে ডেকে বলেন আপনার ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে নিন আপনিও এলাকায় ছেড়ে চলে যান নয়তো আপনাদের সমস্যা হবে।

পরিস্থিতি সুবিধা মনে নাহওয়ায় আমি তাৎক্ষণিক পাঁচলাইশ থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ সন্তোষ চাকমাকে পূর্বের বর্তমান বিষয়গুলো বিস্তারিত বলি। ওই সময় আমার নিকট হতে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিচালক তৈয়ব শাহ’র নাম্বার নিয়ে ফোনে কথা বলে থানা দেখা করতে বলেন কিন্তু ওই সময় অপরপ্রান্ত থেকে তৈয়ব শাহ থানায় আসতে অপারগতা প্রকাশ করলে। আমি উনার পরামর্শ একটি সাধারণ ডায়েরি করি। তখন বিষয়টি থানার অফিসার্স ইনচার্জের নির্দেশে থানার এসআই নুরুল আলম মিয়া আমাকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ হুজুর কে ডাকলে তিনি সামনে আসতে কথা বলতে অপারগতা জানান এবং মাদ্রাসা পরিচালকের নির্দেশ ছাড়া কোন কথা বলা যাবেনা বলে এড়িয়ে যান।

ওই সময়ে বেশ কিছু গনমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে বিষয়টি নিয়ে জানতে চায়লে,ছবি তুলতে গেলে, শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা এলাকায় জুতা নিয়ে প্রবেশ ও ছবি তুলার কারনে জুতা,ইট নিক্ষেপ করতে থাকে একপর্যায়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করলে থানা থেকে অতিরিক্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর লোক এসে আমাকে’সহ পুলিশ ও সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক পরিচালক তৈয়ব শাহ’র সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চায়লে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা তিনি জানান, মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা থানায় এসে বিস্তারিত জানালে একটি অভিযোগ করতে বলি। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে থানা থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কয়েকজনকে ডাকলে তারা না আসার কারণে। এস আই নুরুল আলম মিয়াকে বাদীর সাথে দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠায়।

বিষয়টি জানতে পেরে পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে অবরুদ্ধদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। মাদ্রাসা পরিচালক ঢাকায় অবস্থান করায় এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মাদ্রাসা পরিচালক ঢাকা থেকে ফিরলে এই বিষয়ে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের সাথে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

ঘটনাস্থলে জুতা পরিহিত অবস্থায় গনমাধ্যম কর্মীরা প্রবেশ ও ছবি,ভিডিও ধারনের অজুহাতে সাংবাদিক ও পুলিশের উপর জুতা,ইট নিক্ষেপ করেছে ছাত্ররা,ধারনকৃত ছবি,ভিডিও ডিলেট করানো হয়।এবং কিছু পুলিশ,সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম