৫জি পরিষেবা চালু করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

৫জি পরিষেবা চালু করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ডেস্ক রিপোর্ট:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় টেলিকম সংস্থা আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ৫জি পরিষেবা চালু করার ও দেশের ডেটা সেন্টারগুলোতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ায় আজিয়াটার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে আগ্রহী বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট অপরিহার্য। তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শীর্ষ টেলিকম অপারেটরদের জন্য একটি ‘ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ’ তৈরি করতে লাইসেন্সিং ব্যবস্থাকে সহজ করছে।

সেলুলার অপারেটর রবির মূল সংস্থা আজিয়াটার গ্রুপ সিইও বিবেক সুদ জানান, তাদের কোম্পানি বাংলাদেশে ৫জি পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে, সম্পূর্ণ ৫জি স্থাপনের জন্য দেশের ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ জরুরি। তিনি বলেন, আজিয়াটা বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারের জন্য যৌথ উদ্যোগের অংশীদারিত্বেও আগ্রহী।

তবে, আজিয়াটার গ্রুপ সিইও ৫জি পরিষেবাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যয়বহুল স্পেকট্রাম ফি ও খণ্ডিত লাইসেন্সিং ব্যবস্থা, যা বিদেশি অপারেটরদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

আজিয়াটার প্রতিনিধি দলে ছিলেন গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহরিল রিদজা রিদজুয়ান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার বললে চলে যাবো নিজ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা নেই শিক্ষা উপদেষ্টা

সরকার বললে চলে যাবো নিজ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা নেই শিক্ষা উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট:

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। তিনি জানিয়েছেন, নিজ থেকে পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই তার। তবে সরকার (প্রধান উপদেষ্টা) চাইলে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।

বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি।

রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে (মঙ্গলবার) বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এবং ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি জানায়। এরই মধ্যে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা পদে থাকা কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে সি আর আবরার বলেন
সেটা সরকার বিবেচনা করবে। আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, সেটিই পালন করছি।

নিজের দায়িত্বে ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় রায় আপনারাই দিয়ে দিচ্ছেন। আমার এখানে বলার কিছু নেই। কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা হয়নি, সেটাই বোঝাতে চাইছি।

তিনি আরও বলেন, সচিবকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি নিয়েছে। আমি সেই সিদ্ধান্তে যুক্ত ছিলাম না। কেন তাকে সরানো হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমার নিজ থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছা নেই, কারণ আমি মনে করি, দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি করিনি।

আলোচনার শেষভাগে সি আর আবরার বলেন, “আমাকে ঘিরে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, তাতে যদি মনে করা হয় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি, সরকার চাইলে আমি অবশ্যই দায়িত্ব ছাড়ব। এখানে আঁকড়ে থাকার কিছু নেই, নিজেকে প্রমাণ করারও কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটা উচ্চতর একটি কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। কেন দেওয়া হয়েছে, সে উত্তর আমি দিতে পারব না। নিজে থেকে পদত্যাগের কোনো অভিপ্রায় নেই। আমি মনে করি না, আমার কাজের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে।

সি আর আবরার বলেন, ‘আমাকে নিয়ে কথা হয়েছে। তাও যদি মনে করা হয় ব্যত্যয় হয়েছে, আমাকে যেতে বললে আমি অবশ্যই চলে যাব। এখানে আঁকড়ে থাকার কিছু নেই, নিজেকে জাস্টিফাই করারও কিছু নেই।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম