
খুবি সংবাদদাতা:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুবেল আনসারের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, গত বৃহস্পতিবার অফিস শেষে অভিযোগটি জমা দেওয়া হয়। রবিবার অফিস খোলার পর আবেদনটি দেখে সেটি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেই। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর যে কোনো হয়রানি বন্ধে বর্তমান প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে জমা দেওয়া তিন পাতার অভিযোগে ঐ ছাত্রী ধারাবাহিকভাবে তাকে হয়রানিরর বিভিন্ন বর্ণনা দেন। এর সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যৌনবার্তার স্ক্রিনশটও জমা দিয়েছেন।
অভিযোগের একটি অংশে ছাত্রী উল্লেখ করেন, হঠাৎ তিনি একদিন কল দেন এবং তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন। আমি নিরালা মোড়ে গেলে তিনি কিছু কথা বলার অনুরোধ করে গাড়িতে উঠতে বলেন। তখন কথা বলার একপর্যায়ে গাড়ির ভেতরে (প্রকাশযোগ্য নয়) সরাসরি অনৈতিক প্রস্তাব দেন। আমি কথাগুলো শুনে আপত্তি করি এবং রেগে গাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করি। তিনি তখন ড্রাইভ করা অবস্থায় আমার হাত চেপে ধরেন এবং বলেন জেদ করো না; আমি যা চাই তাই আমার করে নিই। আজ না হোক কাল আমার ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেবই।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী আরও বলেন, জোর করে তার হাত ছাড়ানোর পর আবার বলেন, আমি কখনো এত দিন কারো পেছনে ঘুরিনি, কারো জন্য অপেক্ষা করিনি। তোমার জন্যই এত দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমি তোমার রেজাল্টও বাড়িয়ে দেব, তোমার রেজাল্ট ৩.৫০ হয়ে যাবে। এসব শোনার পরে আমি দ্রুত তার গাড়ি থেকে নেমে কোনো রকমে আত্মরক্ষা করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুবেল আনসারকে তার মোবাইল ফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে খুবির যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর মোছা. তাসলিমা খাতুন বলেন, অভিযোগ তদন্তের জন্য ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কমিটি কাজ শুরু করেছে।