তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খোলা হলো ব্যারাজের ৪৪টি

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খোলা হলো ব্যারাজের ৪৪টি গেট

নীলফামারী সংবাদাতা:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে নিম্নাঞ্চল ও চরগুলো তলিয়ে গেছে। চরবাসীরা গবাদিপশু ও মালপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে লোকালয়ে চলে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৬ মিটার (স্বাভাবিক বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)। এর আগে সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড হয় ৫২ দশমিক ১৩ মিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এর আগে ২৯ জুলাই রাতে প্রথমবার নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে এবং ৩ আগস্ট ১৬ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এবার তৃতীয়বার বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝড়সিংহেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা হজরত আলি বলেন, ‘পানি বেড়ে চরগুলো ডুবে গেছে। অধিকাংশ মানুষ লোকালয়ে চলে এসেছে, গবাদিপশুর জন্য খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।’

খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা তোফেল মেম্বারের পাড়া গ্রামের নূর হোসেন জানান, ‘প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। মানুষ নৌকায় করে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে—কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাসায় উঠছেন। যাদের গবাদিপশু আছে তারা বেশি বিপাকে, এখনো অনেক পশু চরে রয়ে গেছে।’

গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাবর আলি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় নদীর ৩টি শাখা বের হয়েছে। অনেক আবাদি জমির ধান তিস্তার পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর ওপারের কয়েকটি চর ডুবে গেছে, অনেকের বাড়ির কাছাকাছি পানি চলে এসেছে। গবাদিপশু সরানো নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ।’

তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, ‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার, ত্রাণসামগ্রী ও তাবু মজুত রাখা হয়েছে। ইতোপূর্বে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।’

গাইবান্ধায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

গাইবান্ধায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

জেলা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের নুরপুর গ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করায় আত্মহত্যা করেছেন এক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী।

নিহত শিক্ষার্থী লাবণ্য আক্তার নুরপুর গ্রামের আশরাফুল আলমের (শিক্ষক) মেয়ে এবং পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পলাশবাড়ী পিয়ারী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে লাবণ্য আক্তার তার নিজ বাড়ির একটি রুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এসময় তার মা-বাবা বাড়ির আঙিনাতেই বসেছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম