দেশে ফেরা হলো না রুবেলের

দেশে ফেরা হলো না রুবেলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রবাসী রুবেল। দীর্ঘ এক যুগ ধরে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। অবশেষে দেশে ফিরছিলেন তিনি। টিকিট কেটে যান কেপটাউন বিমানবন্দরে। বোর্ডিং নিতে দাঁড়ান লাইনে। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা শুরু হয় রুবেলের। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে বিমাবন্দরের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কেপটাউন বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত রুবেল নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার বজরা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি।

জানা গেছে এক যুগ আগে জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকা এসেছিলেন রুবেল। কাগজপত্রের জটিলতার কারণে তিনি আর দেশে যেতে পারেননি। অবশেষে দেশে যাওয়া মনোস্থির করেন এ প্রবাসী। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল তার। কিন্তু বিমানবন্দরেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।

যাত্রীকে নোংরা সিট দেওয়ায় ভারতীয় এয়ারলাইন্সকে জরিমানা

যাত্রীকে নোংরা সিট দেওয়ায় ভারতীয় এয়ারলাইন্সকে জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

এক যাত্রীকে অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও দাগযুক্ত আসন দেওয়ার ঘটনায় ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সকে জরিমানা করা হয়েছে। দিল্লির একটি ভোক্তা আদালত ইন্ডিগোকে দেড় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

নয়াদিল্লির ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের প্রেসিডেন্ট পুনম চৌধুরী এবং সদস্য বারিক আহমেদ ও শেখর চন্দ্রের সমন্বিত বেঞ্চে পিংকি নামের ওই নারী যাত্রীর অভিযোগের শুনানি হয়। অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বাকু থেকে দিল্লি ফেরার পথে ওই যাত্রীকে নোংরা ও দাগযুক্ত সিট দেওয়া হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তা ‘উপেক্ষা ও অসংবেদনশীল আচরণ’ করে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগের জবাবে ইন্ডিগো জানায়, বিষয়টি জানার পর ওই যাত্রীকে অন্য সিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি স্বেচ্ছায় ওই সিটে বসেই যাত্রা শেষ করেন। প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে গত ৯ জুলাইয়ের আদেশে আদালত জানায়, ইন্ডিগোর সেবায় ঘাটতি রয়েছে। ভোগান্তি, মানসিক কষ্ট ও শারীরিক অসুবিধার জন্য দেড় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ এবং ২৫ হাজার রুপি মামলা পরিচালনার খরচ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, ইন্ডিগো প্রয়োজনীয় তথ্য ও এসডিডি রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যা বিমান চলাচলসংক্রান্ত ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই রিপোর্ট না থাকায় ইন্ডিগোর আত্মপক্ষ সমর্থনে দুর্বলতা ধরা পড়েছে। সব বিষয় বিবেচনা করে এয়ারলাইনসটিকে জরিমানা করা হলো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম