তারিখ লোড হচ্ছে...

বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন ডা. সাবরিনা…

স্টাফ রিপোর্টারঃ

৮ বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন ডা. সাবরিনা দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা ডা.সাবরিনা শারমিন আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জানা গেছে মাত্র মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছর বয়েসে এমবিবিএস পাস করেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দাখিলকৃত চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী ডা.সাবরিনার প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল। দ্বিতীয় এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৮৩ সাল। ১৯৯১ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন।
চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। সাবরিনা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ১৪ ধারা অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও ১৫ ধারা অনুসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অপরাধসহ পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। তবে ২০২১ সালের ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই

আয়েশা আক্তার॥
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার মেয়ে আইরিন মাহবুব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইরিন মাহবুব বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মাহবুব তালুকদার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, মাহবুব তালুকদার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। বেলা ১টার দিকে তিনি মারা যান।

আইরিন মাহবুব বলেন, ‘বাবা আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। অন্য আরও রোগেও ভুগছিলেন। আজ সকালে উনার শারীরিক অবস্থার খুব অবনতি হয়। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। দুপুর ১টার দিকে উনি মারা যান।’

২০১৭-২০২২ মেয়াদে কেএম নুরুল হুদার কমিশনে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব তালুদকার। তিনি ইসির কাজের সমালোচনা করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন বারবার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় সহকারী প্রেস সচিবের (উপসচিব) দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব তালুদকার। একসময় তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকও ছিলেন।

তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ঢাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাকি দুজন থাকেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়।

আইরীন মাহবুব জানান, তার বাবার জানাজা হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পারিবারিকভাবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম