মোঃ রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরঃ
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারকামরুল হাসানের অফিস অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জমির দলিল আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের চাপের মুখে ফেলে ঘুষ দাবি সাব-রেজিস্ট্রার, উমেদার ও নকলনবিশদের নিয়মিত আচরণে পরিণত হয়েছে। ঘুষ আদায়ের কৌশল হিসেবে সাব-রেজিস্ট্রারের রুটিনমাফিক কাজ নকলনবিশ, উম্মেদার ও পিওন দিয়েও করানো হচ্ছে। এই সুযোগে নকলনবিশ, উমেদার ও বিপুল অর্থের মালিক বনে যাচ্ছে। নিবন্ধন ম্যানুয়াল অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রাররা তাদের নিজেদের কাজ নকলনবিশ, উমেদার ও পিওনদের দিয়ে করাচ্ছেন। দলিল চেক করার কাজ সাব-রেজিস্ট্রারদের করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই। অনুসন্ধানে ও সরেজমিন এসব তথ্য উঠে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক ও ভুক্তভোগী জানান, সাব রেজিস্ট্রার কামরুল হাসানের সকল অবৈধ অর্থ লেনদেনে মোঃ রাকিব একমাত্র বিশ্বস্ত ব্যক্তি। তাই সাব রেজিস্ট্রারের পাশাপাশি রাকিবকেও খুশি রাখতে হয়।
এছাড়াও সরকারি অনুমোদন ছাড়াই অনেকে খাস কামরায় কাজ করছে, যা নিয়মবহির্ভূত। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং দলিলের ওপর জালিয়াতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায় করা হয়, এবং মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া কোনো জমির রেজিস্ট্রি হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন ম্যানুয়াল-২০১৪-এর অধ্যায়-২৬-এ উল্লেখ আছে যে, সহকারীগণ কর্তৃক দলিল পরীক্ষাকরণ কাঙ্ক্ষিত নয়, এই কাজটি অবশ্যই স্বয়ং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত হতে হবে।
সর্বশেষ এইসমস্ত অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য মোঃ রাকিব এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.