আবারও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আবারও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডেস্ক রিপোর্ট:

আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে এই রিট করেছেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। একইসঙ্গে তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। গত ২৬ আগস্ট যাচাই বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন ডাকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয় ২৬। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউস টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন, জুলিয়াস সিজার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হলেও ট্রাইব্যুনাল কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠান জুলিয়াস সিজার তালুকদার। তাতে সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

এবার বসুন্ধরার শাহ আলম-আনভীরের বিরুদ্ধে মানহানির দুই মামলা

স্টাফ রিপোর্টার:

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। 

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়াল ১ হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ এনে অপর মামলাটি করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। এনামুল হকের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার হায়দার আলী, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সিইও, ম্যানেজার আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেল, কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি রিপনুল হাসান (রিপন)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আহমেদ আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশে অন্য আসামিরা দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ২৭ আগস্ট ‘সোনা চোরাচালানে অপ্রতিরোধ্য, আছে খুনের অভিযোগ, ধরাছোঁয়ার বাইরে দুই মাফিয়া’ শিরোনামে তাদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। তিনি আসামিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো ধরনের সাড়া না দিয়ে বরং হুমকি দেয়। তাদের এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘শেখ সেলিমের স্বর্ণ পাচারে সহযোগী দোলন, ২০ হাজার কোটি টাকা পাচারে দিলীপ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। ২৯ আগস্ট ‘দিলীপের ১৭ কোটি টাকার স্বর্ণ আটক’ মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে তারা সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা আসামিদের সঙ্গে হোটেল শেরাটনে বসেন। এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। আসামিরা তাদের কথায় কর্ণপাত না করে সংবাদ প্রকাশ করবে মর্মে হুমকি দেয়। ৩০ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ভ্যাট ফাঁকি ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা’ নামক শিরোনামে খবর প্রকাশ করে। তারা এর প্রতিবাদ পাঠান। তবে পত্রিকায় তা ছাপা হয়নি। এতে তারা মানসিক, আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম