রাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি ছাত্রদলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের, শিবিরের দ্বিমত

রাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি ছাত্রদলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের, শিবিরের দ্বিমত

রাবি সাংবাদদাতা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও উপ-উপাচার্য মঈন উদ্দিনসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তির দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যদিকে ক্লাস-পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যাচ্ছে দাবি করে ৪টি প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচন পেছানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নুরু উদ্দিন আবীরসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মিটিং শেষে রাকসু নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ নজরুল ইসলাম। তবে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। তাই ২৫ সেপ্টেম্বরই নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

কিন্তু পোষ্য কোটা স্থগিত ও গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মঈন উদ্দিনসহ প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্য ও কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি সোমবার প্যারিস রোডে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা‌ করেছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অন্যদিকে সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, সার্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ, রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ, ইউনাইটেড ফর রাইটস ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ছিলেন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই দাবি করেন। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে কি না এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজকে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ দিবস এবং ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেনের সই করা এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার প্রতি বছর ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস (সাধারণ ছুটিসহ) হিসেবে ঘোষণা করেছে। এদিন জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকার প্রতি বছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এদিন জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত দেশের সব স্কুল, কলেজে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম