মির্জাগঞ্জ সংবাদদাতা:
অতিরিক্ত বিলের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অভিযোগ মিটার রিডিং না দেখে বিল করায় প্রায় প্রতি মাসেই এ সমস্যা হয়। ইউনিট কমবেশি হলেও গ্রাহকদের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অনেকেই এ অভিযোগ করেছেন।
ভুতুড়ে বিল আসা মাধবখালী ইউনিয়নের শিশুর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সখনাথ রায়ের বিলের কাগজে দেখা যায়, গত ছয় মাসে গড়ে ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন তিনি। কিন্তু আগস্ট মাসে তার বিল কাগজে ১১৫ ইউনিট এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১০০ ইউনিট আসে। মিটারের সাথে বিল কাগজ মিলিয়ে বিলে গরমিল পাওয়া যায়। বিল কাগজে তার মোট বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখানো হয়েছে ১০০০ ইউনিট। কিন্তু মিটারে দেখা যায় মোট ব্যবহার হয়েছে ৮২৬ ইউনিট। ১৭৪ ইউনিটের বিল বেশি করা হয়েছে। এভাবে উপজেলায় প্রতি মাসে কোনো না কোনো গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে।
গ্রাহক সখানাথ রায় বলেন,পরপর দু’মাস দোকানের বিদ্যুৎ বিল বেশি হলে বিষয়টি সন্দেহজনক হয়। এরপর বিলকাগজ ও মিটারের সাথে মিলিয়ে দেখি ১৭৪ ইউনিট বিল বেশি করা হয়েছে। পরে গতকাল সোমবার সুবিদখালী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করলে সংশোধন করে শূন্য ইউনিট বিল ধরে ৫৫ টাকা পরিশোধ করতে বলেন আমাকে। কিন্তু মিটার না দেখে বিল করায় আমি হয়রানির শিকার হয়েছি।
মির্জাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার পলক সাহা বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্ট মিটার রিডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.