নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পোস্তগোলা চীন-মৈত্রী সেতুর উপড় অবৈধ বাস স্ট্যান্ড বানিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ পাওয়াগেছে।চিহ্নিত মাদক কারবারি-সন্ত্রাসীরা গডফাদারের নেতৃত্বে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে বলেও জানাগেছে।
কোন মালিক সমিতি কিংবা শ্রমিক সংগঠন নয়,পোস্তগোলা চীন মেত্রী সেতুর উপড় পরিবহনে চাঁদা তোলা হচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসী পালিয়ে থাকা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নামে।মাঝে কয়েক বছর চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে গেলেও শ্যামপুর পোস্তগোলায় ফের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছেন দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকা তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আইজি গেটের কচি।
চাঁদাবাজিসহ মাদক ব্যাবসা ও অপরাধে সবচেয়ে এগিয়ে আছে শীর্ষ সন্ত্রাসী কচি।চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যাবসা নির্বিঘ্ন করতে শীর্ষ সন্ত্রাসী কচি তার সহযোগীদের মাঠে সক্রিয় রেখেছেন।ঢাকা মাওয়া মহাসড়কে চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, পিকআপ, ভ্যান, লরি, লাইটেস, নোহা, টেম্পু, লেগুনা, সিএনজি ইত্যাদি বাহনগুলো প্রতিদিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কচি বাহিনীর চাঁদাবাজির শিকার হয়।চাঁদাবাজির কারনে সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।
মালিক ও ড্রাইভারদের কাছে নিয়মিত ঘটনা বলে তারা এটাকে অনেকটা বৈধ ও বাধ্যবাধকতা বলে ধরে নিয়েছেন।চাঁদাবাজ এ চক্রটি এত ক্ষমতাবান ও বেপরোয়া যে গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের চাঁদা না দিয়ে কোন উপায় থাকে না।মুন্সীগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সেবা পরিবহন নামে ঢাকা-দোহার রুটে দৈনিক ২৩ টি গাড়ি চলাাচল করে।সেবা পরিবহনের এসব গাড়ি থেকে ৬৭০ টাকা করে জোড়পুর্বক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেন শীর্স সন্ত্রাসী কচির সহযোগী ও সেকেন্ডইন কমান্ড রফিক,ল্যাংড়া ফালান,মামুন,তাদের নিযুক্ত সুপার ভাইজার জাকিরকে দিয়ে এসব চাঁদার টাকা উত্তোলন করা হয়।ঢাকা থেকে মাওয়া সড়কে চলাচলকারী দক্ষিনবঙ্গসহ বিভিন্ন রুটের বাস, মিনিবাস, পিকআপ, ভ্যান, লরি, লাইটেস, নোহা, টেম্পু, লেগুনা, সিএনজি ইত্যাদি বাহনগুলো থেকেও চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন ড্রাইভার জানান,প্রতিদিন দাদার নামে (শীর্ষ সন্ত্রাসী কচি) ৬৭০ টাকা চাঁদা দিতে হয়,না দিলে রফিক জাকির তার বাহিনী নিয়ে আমাদের উপড় হামলা করে মারধোর করে।
এ বিষয়ে দৈনিক সকালের সময় কে শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার এসি মোঃ নুর নবী বলেন, "আমি শ্যামপুর জোনে যোগদান করার পর আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এখানে শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামে পরিবহনে চাঁদাবাজি হচ্ছে, বিষয়টা আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি, যেকোন মূল্যে এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে"।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.