সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩ জন

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩ জন

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে চক্রের মূল হোতা ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে দক্ষিণখানের আজমপুর রেলগেটসংলগ্ন এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়। উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বিকালে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন চাঁদাবাজ চক্রের হোতা আসাদুর রহমান আকাশ (২৪), তার দুই সহযোগী ফরিদ উদ্দিন (২৬) ও মো. রবিন (২৫)।

সেনাবাহিনী জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইন-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

গ্রেফতারকৃত আসাদুর রহমান আকাশ ও তার সহযোগীরা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন বেআইনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানায় যৌথবাহিনী। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মব সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এছাড়া, তারা বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় ও মামলা বাণিজ্যে জড়িত ছিল বলেও জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

যৌথবাহিনী জানিয়েছে, তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।

আফতাবনগরে গ্যাস বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৫

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর আফতাবনগরে এক বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মানসুরা আক্তার (৩৫), তাদের সন্তান তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী মো. শরীফ।

তিনি বলেন, আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এলাকার এক ভবনে নিচতলায় বসবাস করেন ভুক্তভোগীরা। রাতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।

দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন একজন দিনমজুর। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। পরিবার নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আফতাবনগর থেকে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনের ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মানসুরা ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া তাদের কন্যা তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম