তারিখ লোড হচ্ছে...

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা রাতে একাধিক স্থানে মাটি কাঁটা হচ্ছে প্রশাসন নীরব

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অবৈধভাবে মাটি কাঁটা হচ্ছে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র এই এই মাটি কাঁটার সাথে জড়িত বলে জানা যায়। তাঁরা গুণবতী ইউনিয়ন দশবাহা গ্রামে,পদুয়া ইউনিয়নে পদুয়া বাজার, আলকরা ইউনিয়নে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের পায়ের খোলা, সোনাপুর গ্রামে, চিওড়া ইউনিয়নে সরপাটি, চাপিরতলা, বাতিসা ইউনিয়নে বসন্তপুর, ঘোলপাশা ইউনিয়নে সোনাকাটিয়া, হাড়িসর্দার, আমানগন্ডা, শুভপুর ইউনিয়নে ফকিরহাট, কাশীনগর ইউনিয়নে কাশীনগর বাজার, উজিরপুর ইউনিয়নে চান্দশ্রী, ভাটবাড়ী, সাহেবের টিলা গ্রাম অন্যতম।

শুধু ফসলি জমির মাটি কাঁটা নয় ভারতের সীমান্ত এলাকায় তাঁর কাঁটার ২০০ গজ সীমানার মধ্যে (নো ম্যানস ল্যান্ড) বন বিভাগের বা সরকারি খাস জমি মৌজা রাজনগর খতিয়ান নং ১ জেলা প্রশাসকের নামে এবং ৩ দাগ নং পক্ষে জেলা প্রশাসক মালিক বন বিভাগে সাবেক দাগ ৪০ বর্তমান দাগ নং ৪৯৫/৪৯৬/৪৮৬/৪৮৭ থেকেও মাটি কাঁটা হচ্ছে। এবং এসব মাটি বিভিন্ন ইঁট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা যায় অবৈধ মাটি কাঁটা সিন্ডিকেটের সাথে প্রায় ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি,জি,বি) সহ রাজনৈতিক দলের নেতারা জড়িত।

গত ২১শে ডিসেম্বর ২২শে ডিসেম্বর ২৩ শে ডিসেম্বর ঘোলপাশা ইউনিয়ন আমান গন্ডা তাকিয়া আমগাছ মাদ্রাসা রোড শালুকিয়া রাজনগর মৌজা হইতে রুক মিয়ার ঘাট দিয়ে মাটি সীমান্ত এলাকা, বাবুচি সীমান্ত এলাকায় বাতিসা ইউনিয়ন বসন্তপুর সীমান্তে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন খিল্লাপাড়া, কোদালিয়া, বেতিয়ারা সীমান্তে রাতে মাটি দেখতে পেরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন কে রাতে বিষয় টি অবহিত করলেও কোন ব্যবস্হা নেননি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা কর্মকার কে বারবার ফোন করে রিসিভ না করাতে জানানো যায়নি।

স্থানীয় জনগণের সাথে আলোচনা করে জানা যায় সীমান্ত এলাকায় আইনি বিধি নিষেধের কারণে সাধারণত জনমানবহীন হওয়ার সুযোগে একটি মহল অতিরিক্ত সুবিধা বা অর্থের বিনিময়ে মাটি কাঁটা এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এবং এর ফলে ব্যাপক ফসলি জমি চাষবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি,জি,বি) কোম্পানি কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মারুফুল আবদীন কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ব্যক্তি মালিকানা জমি থেকে মাটি কাঁটা হচ্ছে এটা আমি জানি।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন কে জানতে চাইলে বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান কে বিষয় টা জানিয়েছি। এবং বলেন রাতে মোবাইল কোর্ট করা নিরাপদ নয়।

কুমিল্লায় ৭ম শ্রেণি পাশ বিএনপি নেতা পাগলা জসিম ও তারেক জিয়ার পি.এস সানির কমিটি বাণিজ্যের প্রতিবাদে যুবদলের সংবাদ সম্মেলন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

অর্থের বিনিময়ে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্তোরায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে এমন ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু ইউসুফ বাবুল। লিখিত বক্তব্যে যুবদল নেতা বাবুল বলেন, কুমিল্লা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আওয়ামীলীগের সুবিধাভুগী একজন নেতা। অর্থের বিনিময়ে তিনি পছন্দের লোক নিয়ে তিনি বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজলা যুবদলের কমিটি গঠন করে তারেক রহমানের পি.এস পরিচয় দানকারী সানিকে টাকা দিয়ে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এনেছেন। যাদের বেশীর ভাগই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের নামে একটিও মামলা নেই। যারা মামলা হামলায় জর্জরিত তাদেরকে কমিটি রাখা হয় নাই।

এছাড়াও জসিম নিজে একজন সুবিধাবাদী উল্লেখ করে সাবেক যুবদল নেতা বাবুল বলেন, যখন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করি। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, আমরা সরকার দলীয় ক্যাডারদের নির্যাতনের শিকার তখন জসিম উদ্দিন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। আন্দোলন শেষ হলে তিনি দেশে ফিরেন। দলের প্রতি তার কোন দরদ নেই। টাকা পেলে তিনি সব করতে পারেন। তার মতো অযোগ্য লোক দলে থাকলে দলটার জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা আজ থেকে কমিটি বাণিজ্যে লিপ্ত থাকা পাগলা জসিমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।

আমরা আশা করবো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক জিয়া ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অচিরেই এই কমিটি বিলুপ্তি করে ত্যাগীদের নিয়ে যুবদলের কমিটি গঠন করবেন। না হয় কখনো এমন হাইব্রীড কমিটি দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।আমাদের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না স্বাক্ষরিত ৫১ সদস্যের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবদলের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে বঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দাবি দাওয়া জানান দিচ্ছেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ, যুবদল নেতা কাজী ইরফানুল হক, জামাল উদ্দিন, ইসরাফিল গাজী, হুমায়ুন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, নিকসন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, সোহেল মিয়া, রমিজ মেম্বার, আলমগীর মেম্বার, শাহ জালাল, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম ভুইয়া, জাসাস নেতা আল আমিন মিয়াজী, সাইফুল ইসলাম, সুলতান মেম্বারসহ আরো অনেকে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম