শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে ১৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে ১৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন বিভাগের উদ্যোগে ১৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ১৬ হাজার ২০০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বন অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন “বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সারা দেশব্যাপী ব্যাপক বনায়ন কর্মসূচি”র অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে শ্রীবরদী সরকারি নার্সারি প্রাঙ্গণে এসব চারা বিতরণ করা হয়।

বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আলম তালুকদার এবং একাডেমিক সুপারভাইজার মোশারফ হোসেন সাগর।

এসময় শ্রীবরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তারেক মো. আব্দুল্লাহ রানা,নউপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য তাসলিম কবির বাবু সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থী, পরিবেশ কর্মী ও বন বিভাগের স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণকৃত চারার মধ্যে ছিল- আম, জাম, পেয়ারা, জলপাই, চালতা, বহেড়া, আমলকি, হরিতকি, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, অড়বড়ই, চাপালিশ, পলাশ, শিমুল, গর্জন, গাদিলা, অর্জুনসহ নানা প্রজাতির চারা।

বাবার হত্যার বিচার চায় শিশু আরিয়ান ও রাইয়ান

 

স্টাফ রিপোর্টার:
সমুদ্রে মাছ ধরতে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পতেঙ্গা’র বহু-মামলার আসামি ইলিয়াস বাহিনী’র হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে পতেঙ্গা’র ব্যাবসায়ী “রফিক “।
নিহত রফিক নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গাস্থ দক্ষিণ পাড়া নাগর আলীর নতুন বাড়ির মৃত বদিউর রহমানের ছেলে ছোট ছেলে।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নগরী’র পতেঙ্গায় ব্যাবসায়ী রফিক এর নিকট
সমুদ্রে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে
দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন পতেঙ্গা থানা’র
কথিত সৈনিক লীগের থানা সভাপতি
ইলিয়াস প্রকাশ গাভী ইলিয়াস,
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে
ইলিয়াসের নির্দেশে তার ভাই রুস্তম ও আলাউদ্দিন, ভাইয়ের ছেলে তুষার এবং ইলিয়াসের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. ফারুকসহ অন্তত ১৫ থেকে ১৯ জনের একটি দল রফিককে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন নিহত রফিকের বড় ভাই মামলার বাদী আবদুর নুর।

আবদুর নুর বলেন- গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার ঠিক পরে রফিক বিজয়নগর থেকে চা খেয়ে বাচ্চাদের জন্য হাত ঘড়ি কিনে বাড়ির দিকে আসছিল। ভিআইপি রোডে টি কে গ্রুপের মাঠের কাছাকাছি আসলে, তাকে ঘিরে ধরে মাঠের ভেতরে নিয়ে যায় ইলিয়াসের লোকজন।
সেখানে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে সেখান থেকে অাহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেল নেওয়া হলে পথে তার মৃত্যু হয়।

আব্দুর নুর আরো বলেন – প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে ইলিয়াস অন্যথায় নাকি আমার পরিবারের সদস্য’র ক্ষতি করবে এ বিষয়ে আমি জিডি করেছি জিডির প্রতিবেদনেও সত্যতা মিলেছে।

নিহত রফিকের স্ত্রী আরজুন নাহার নিশা
বলেন, আমার সন্তানের বাবাকে যারা হত্যা করেছে তারা এখনও জামিনে এসে মানলা তুলে নেবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে আমার ভাসুর আব্দুর নুর ও আমাদের কে প্রতিনিয়র হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে আমরা থানায় জিডিও করেছি আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনিত আবেদন, আমার স্বামী কে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়।

রফিকের বড় ছেলে জুনায়েদ তাজবিদ রাইয়ান বলেন আমার বাবার খুনি ইলিয়াস এর ছেলে আমাকে বলেছে আমাকেও নাকি আমার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেবে।

কে এই ইলিয়াস?

ইলিয়াস চট্টগ্রামের পতেঙ্গার দক্ষিণ পাড়া কোনার দোকান এলাকার নাগর আলীর নতুন বাড়ির মৃত হোসেন আহম্মদের ছেলে। পতেঙ্গা থানা সৈনিক লীগের থানা সভাপতি হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও মাদকের মামলাসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে লাইটার জাহাজ থেকে তেল চুরির অভিযোগ ও স্ট্যাম্পে লিখে সমুদ্র বিক্রি, তার এসব অপকর্মের নানা অভিযোগ রয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), র‌্যাব-৭ ও কোস্টগার্ড দপ্তরে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম