চৌদ্দগ্রামে বন বিভাগের মাটি কাঁটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অপরাহ্নে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা এলাকার শালুকিয়া মৌজায় অবস্থিত বন বিভাগের জায়গায় অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ও আদালতের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী মাটি কাটা ভেঁকু দিয়ে মাটি খনন করে নিয়ে যাচ্ছে।

এতে অত্র এলাকার সরকারি বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় আনুমানিক ৩০/ ৪০ ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত সৃষ্টি হয় ও বড় সাইজের সতেজ গাছ শিকড়সহ উপড়ে পড়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেনের আজকের অভিযান কালে ছিলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ও দৈনিক ভোরের চেতনা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার ও দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকা সাংবাদিক ইয়াছিন ফারুক ভূঁইয়া এবং চৌদ্দগ্রাম থনা এস আই তোফায়েল আহমদ।

পরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার কে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহীর নির্দেশ ক্রমে গ্রাম পুলিশ (আনসার) সহ আসেন।

তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ ভাবে মাটি কাঁটার কারণে জব্দকৃত দুটি ভেকুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ভেঁকুর মালিক সহ নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেন।

চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশকে এবং ভেকু দুটিকে থানায় পৌঁছানোর দায়িত্ব বা জিম্মায় দেওয়া হয় ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান, ও ওয়ার্ড মেম্বার ও অত্রস্থানে উপস্থিত বিজিবি সদস্যদের।

জানা যায় গত প্রায় ৬ গত আগ থেকে প্রতি রাতে এই মাটি কাঁটা চলছে এই নিয়ে বিভিন্ন পএিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও মাটি কাঁটা বন্ধ না হওয়ার কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বাধ্য হন।

সরজমিন গিয়ে মাটি কাঁটা সিন্ডিকেটের আস্তানা পাওয়া যায়, এভাবেই প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মাটি কাঁটা হয় বলে ধারণা করা যায়।

আরও জানা যায় বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য এই মাটি কাঁটার জড়িত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপস্থিত একজন জানান প্রতিনিয়ত বিনা অনুমতি তে এই বনের গাছ রসুল নামে জনৈক ব্যাক্তি নিয়মিত গাছ কেটে বাসা বাড়ি তে ব্যবহার ও বিক্রি করেন।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার কে সাহসী পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানান।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে পুলিশের নাকের ডগায় হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল এ চলছে দেহ ও মাদক ব্যবসা!

 

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে।
হোটেল ব্যবসার নামে চলেছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু সময় পুলিশ এসে হোটেল গুলো বন্ধ করলেও ২/১ দিন যেতে না যেতেই তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে জানা যায়, এখানে রয়েছে কয়েক ধরনের রমরমা ব্যবসা যদি কেউ এখানে মাদক সেবন করতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা অফার, যেমন মেয়ে সাথে বসে মাদক সেবন করতে চাইলে দিবে হবে আলাদা ফ্রি যেমন একটি ইয়াবা ট্যাবলেট এর মূল্য দিতে হয় ১২শত থেকে ২ হাজার টাকা।আর মেয়ের সাথে আলদা রুম শেয়ার করতে হলে আরো দিতে হবে ৩/৪ হাজার এভাবেই তারা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে রয়েছে একটি বিশাল চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়, হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এ উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীর যাওয়া আশা এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা প্রায়ই এখানে এসে রুম ভাড়া নিচ্ছে এভাবেই যুবসমাজ ধ্বংস করছে এই হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকের একটি বিশাল অসাধু চক্র।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে কিছু দোকানদার ও বাসের টিকিট কাউন্টারের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসি আর এদের অসামাজিক কার্যকলাপ ও হট্টগোল লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ব্যবসা ছেড়ে এখান থেকে চলে যাই। তারা আরো জানায়, স্হায়ীয় প্রশাসন এই হোটেল থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিচ্ছেন তাই তারা কোন কোন সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন।

এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে জানান,আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি আব্দুল্লাহপুরের হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিকে একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই।
কিছু সময় পর একটি মেয়ে ও একটি ছেলে এসে রুমে নক দিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো তখন মেয়েটা আমাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলো আর ছেলে মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে লাগলো, তারপর আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দিবো আর যদি ইজ্জত বাঁচাতে চাও তাহলে ৫০ হাজার টাকা দেও। তারপর ভুক্তভোগী আফজাল বলেন আমি ইজ্জত সম্মানের ভয়ে বাড়ী থেকে বিকাশে টাকা এনে তাদের কে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারপর হোটেল থেকে ছাড়া পাই।

এই বিষয়ে হোটেল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক এর ম্যানেজার জাকিরের সাথে কথার বলার চিষ্টা করলেও তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে জাকির বলেন, সাংবাদিক পুলিশ পকেটে রেখেই আমরা ব্যবসা করি।

এই বিষয়ে, ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান