
পিরোজপুর: প্রতিনিধি॥
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিরোজপুর-১ (ইন্দুরকানী, পিরোজপুর সদর ও নাজিরপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় অত্যন্ত আলোচিত ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম দুলাল। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে তিনি বিএনপির দুঃসময়ে রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন, আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, হয়েছেন হামলা-মামলার শিকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল বর্তমানে ইন্দুরকানী এম.ইউ. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিও এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অতীতে ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা যুবদলের সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই জাহাঙ্গীর আলম দুলাল দলীয় আদর্শে অনুগত থেকে জনগণের পাশে থেকেছেন, রাজনীতিতে কোনো অপকৌশল বা বিতর্কিত ভূমিকার সঙ্গে নিজেকে জড়াননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির একাধিক কর্মী সমর্থক।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম ফকির বলেন, “আমরা একজন সৎ, শিক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই, জাহাঙ্গীর আলম দুলালই আমাদের সেই প্রত্যাশার প্রতীক।”
ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা জামাল হোসেন বলেন, “তৃণমূল পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দলের প্রতি দীর্ঘদিনের অবদানকে ভিত্তি করেই আমরা মনে করি—পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির হয়ে লড়াই করার জন্য একজন যোগ্য ও সাহসী প্রতিনিধি হতে পারেন জাহাঙ্গীর আলম দুলাল।”
দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তিনি ইতোমধ্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন এবং মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম দুলাল বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রদল, যুবদলের নেতৃত্ব দিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়ার সুবাধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। আমি আজীবন মনে প্রানে বিএনপিকে ভালোবেসে এসেছি এবং আজীবন ভালোবেসে যাবো।
কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আরও বলেন, দলের দুর্দিনে দল পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিভিন্ন দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। কখনো কোন দুর্নীতির সাথে নিজেকে যুক্ত করিনি। একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে ধরে রেখেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, আমাকে মনোনয়ন দেন, আমি অবশ্যই জনগণের আস্থা অর্জন করে বিপুল ভোটে বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।