
এমডি আকাশ খান॥
ঢাকার তেজগাঁও ট্রাফিক জোনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ রফিকুল ইসলাম যেনো জনদুর্ভোগ লাঘবের এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। গত ৫ আগস্ট যোগদানের পর তিনি রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক তেজগাঁও এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে সহজতর, মানবিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করার জন্য একের পর এক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
এর আগে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পর্যটন নগরীর সড়ক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হন। তাঁর নিজ জেলা রাজশাহী হলেও কর্মদক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং কর্তব্যনিষ্ঠা তাঁকে সারা দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক করে তুলেছে।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, কাওয়ানবাজার, ফার্মগেটসহ যানজট প্রবণ এলাকাগুলোতে নিয়মিত ভিজিট করে তিনি ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম তদারকি করছেন এবং সরাসরি সাধারণ মানুষের মতামত নিচ্ছেন। শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে তিনি মূল লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পথচারী, রিকশাচালক থেকে শুরু করে গাড়িচালক-সবার সঙ্গে সম্মানজনক ও মানবিক আচরণ করার জন্য অধীনস্থ সদস্যদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তাঁর নেতৃত্বে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনে বিগত কয়েক সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে, যানজট কমেছে এবং নিয়ম-শৃঙ্খলার উন্নতি লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক চালক, যাত্রী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মোঃ রফিকুল ইসলামের আন্তরিকতা ও দৃঢ় মনোভাবের কারণে তেজগাঁওয়ে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে।
জনসেবাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা মানে শুধু যানবাহন নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং মানুষের জীবনকে নিরাপদ করা। তাই নাগরিক সহযোগিতা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিয়মিত তদারকির সমন্বয়ে তিনি একটি সুশৃঙ্খল সড়কব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।