বিশ্ববাজারে আবারো নতুন রেকর্ড স্বর্ণ ও রুপার দাম

ডেস্ক রির্পোট :

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর নিরাপদ বিনিয়োগমাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আরও বেশি ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। চাহিদা বাড়ায় প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গতকাল সোমবারও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। পাশাপাশি রুপার দামও উঠেছে ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি চার হাজার ৭৯ দশমিক ৭০ ডলার ছুঁয়ে নতুন উচ্চতায় উঠেছে। বাংলাদেশ সময় দুপুরে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম ছিল চার হাজার ৭৫ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। আগামী ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ৯৪ ডলারে, যা এক দিনেই ২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই দিনে রুপার দামও বেড়ে আউন্সপ্রতি ৫১ দশমিক ৭০ ডলারে পৌঁছেছে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। অবশ্য দুপুর নাগাদ দাম কিছুটা নেমে ৫১ দশমিক শূন্য তিন ডলারে অবস্থান করছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা ও মুদ্রানীতির পরিবর্তন যদি আগামী মাসগুলোতে বাস্তব রূপ নেয়, তবে স্বর্ণ ও রুপার এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।

দেশের বাজারে বেড়েছে আরেক দফা
এদিকে দেশের বাজারে গতকাল সোমবার স্বর্ণের দাম আরেক দফা বেড়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে দুই লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, যা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে। গতকাল  পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের দাম ছিল প্রতি ভরি দুই লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা।
এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এক লাখ ৯৯ হাজার ৫৯৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে দুই লাখ চার হাজার তিন টাকা। ১৮ ক্যারেটের দাম এক লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৫ টাকা। বেড়েছে রুপার দামও। প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম চার হাজার ৯৮১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার ২০৫ টাকা।

মার্কিন শুল্কের প্রভাব
গত শুক্রবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারে। যদিও রোববার ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘চীন নিয়ে চিন্তা করবেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে!’ ইউবিএস বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো রয়টার্সকে বলেন, বাণিজ্যিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও ট্রাম্পের ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের হুমকি এখনও আছে। শক্তিশালী বিনিয়োগ প্রবাহ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ কেনা অব্যাহত থাকায় স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বড় ব্যাংকের পূর্বাভাস
ব্যাংক অব আমেরিকা (বিওএফএ) সোমবার তাদের পূর্বাভাস হালনাগাদ করে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি পাঁচ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে। রুপার দাম একই সময়ে ৬৫ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে বলে অনুমান ব্যাংকটির।  গোল্ডম্যান স্যাকসও জানিয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগ প্রবাহের কারণে রুপার দাম মাঝারি মেয়াদে আরও বাড়তে পারে, যদিও তারা স্বীকার করেছে যে রুপা স্বর্ণের তুলনায় বেশি অস্থির থাকবে

দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে আওয়ামী দোসর এলজিইডি’র পিডি ফাহমিদুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র মো: ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যহার,অনিয়ম,দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
৭ জুলাই-২০২৫ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়েরকৃত এক অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও সুবিধাভোগী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা মো: ফাহমিদুল হক আওয়ামী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যহার,অনিয়ম,দুর্নীতি করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মো: ফাহমিদুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে সম্পদের অনুসন্ধান অভিযোগের প্রমান পাওয়া যাবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে,এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প(সিআরডিপি-২) এর প্রকল্প পরিচালক মো: ফাহমিদুল হক এর রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে একটি বহুতল বাড়ি (হামিদা ভিলা,বাড়ি নং-২১০/বি,রোড নং-৪), ঢাকার মোহাম্মদপুরে স্ত্রী আরমানা ইসলামের নামে একটি বাড়ি(বাড়ি নং-১১/১৬, সলিমুল্লাহ রোড, মোহাম্মদপুর-১২০৭) এবং ঢাকার শেখের টেকে ৩ নম্বর রোডে প্যারামাউন্ট হাউজিং এর ১০ নং ভবনে একটি বিলাসবহুল ফ্লাট রয়েছে। এছাড়া,রয়েছে একাধিক প্রাইভেট কার। তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকার এফডিআর। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে ,বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে দলীয় ছত্রছায়ায় অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এলজিইডি শাখার ৩৬ নম্বর সদস্য ছিলেন। আওয়ামী ম্যান হওয়ায় বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকি উদযাপন কমিটির ৭ নং সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের সাথে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বাগিয়ে নিয়েছেন পিডির পদ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত ডোনেশন দিতেন।
আওয়ামী ছত্রছায়ায় সব সময় সুবিধাজন পদে ছিলেন। প্রকল্পে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দরপত্র আহবান,ঠিকাদার নিয়োগ,স্বজনপ্রীতি,কমিশন আদায় ছিল তার রুটিন ওয়ার্ক। নিজস্ব ঠিকাদার সিন্ডিকেট তৈরি করে কাজ দিয়ে কমিশন নিয়ে নিতেন এবং এই প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে। দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প(সিআরডিপি-২) এর কার্যক্রম আদ্যপান্ত সরজমিন তদন্ত করলে মো: ফাহমিদুল হকের অনিয়ম,দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া যাবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এর নেতা আওয়ামী ম্যান মো: ফাহমিদুল হক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। দাপটের সাথে প্রকল্পের পিডির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম