মিরপুরে ভয়াবহ আগুনে ৯ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার॥
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে প্রথম আগুনের সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। তবে বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, এখন পর্যন্ত আগুনের ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছেন। সদর দপ্তর থেকে একটি সার্চিং টিম পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে সার্চ করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে আর বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে নেই। পরে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুন লাগা পোশাক কারখানার দ্বিতীয় তলা থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩ জন

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৩ জন

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে চক্রের মূল হোতা ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে দক্ষিণখানের আজমপুর রেলগেটসংলগ্ন এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়। উত্তরা আর্মি ক্যাম্প থেকে আজ বিকালে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন চাঁদাবাজ চক্রের হোতা আসাদুর রহমান আকাশ (২৪), তার দুই সহযোগী ফরিদ উদ্দিন (২৬) ও মো. রবিন (২৫)।

সেনাবাহিনী জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইন-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

গ্রেফতারকৃত আসাদুর রহমান আকাশ ও তার সহযোগীরা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন বেআইনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানায় যৌথবাহিনী। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মব সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এছাড়া, তারা বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় ও মামলা বাণিজ্যে জড়িত ছিল বলেও জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

যৌথবাহিনী জানিয়েছে, তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম