এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন ৬৯০৯৭ জন

ডেস্ক রির্পোর:

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার মোট  জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির এ ফল প্রকাশ করেন।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ৩৭ হাজার ৪৪ জন ছাত্রী এবং ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্র।

এবছর ১১টি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩। আর এইচএসসির ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৫৭ দশমিক ১২।

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ২৬ জুন এবং শেষ হয় ১৯ আগস্ট। নির্ধারিত সময়ের কিছুদিন পর কয়েকটি স্থগিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। রেওয়াজ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হয়।

এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিলেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ফলে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় সোয়া ১২ লাখ পরীক্ষার্থী।

এ বছর ঢাকা বোর্ডে ২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ লাখ ৩৫ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬১ হাজার ২৫ জন, সিলেট বোর্ডে ৬৯ হাজার ৬৮৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৩২ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

এ ছাড়া, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে (আলিম) পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।

জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমাবেশ

জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমাবেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় শিক্ষকদের সমাবেশ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন শিক্ষক নেতাসহ অতিথিরা। এর আগে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় জড়ো হয়েছেন হাজারো শিক্ষকরা। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রেসক্লাব এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশে সড়কগুলোতেও অবস্থান নেওয়া শুরু করেছেন শিক্ষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রেসক্লাব এলাকা ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারাও রয়েছেন। পাশাপাশি জাতীয় ঈদগাহ এর সামনে ও শিক্ষা ভবন এলাকায়ও অনেকে অবস্থান নিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতিও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাবে আসছেন শিক্ষকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ২০ দিন অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জন্য ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়। সে সময় সরকার শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেয়, কিন্তু পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও পরবর্তী বাজেটে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন তিনি।

আরও পড়ুন: জাতীয়করণের দাবি: সমাবেশ শুরুর আগেই কানায় কানায় পূর্ণ প্রেসক্লাব এলাকা

শিক্ষা উপদেষ্টার সুস্পস্ট ঘোষণা সত্ত্বেও ২০২৫-২৬ অর্থ বছর শুরু হলেও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার প্রজ্ঞাপন এখনও জারি করা হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আবারও রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে সমাবেশ থেকে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম