আড়াই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২১ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটে বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত মোট ২১ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। শিক্ষার্থীরা ভোট নিয়ে অত্যন্ত প্রফুল্ল। ইতোমধ্যে ২১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

উল্লেখ্য, এবারের রাকসুতে মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার ভোট দেবেন। রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৮৬০ জন প্রার্থী রয়েছে। এ ছাড়াও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ৫ পদে মোট ৫৮ জন প্রার্থী লড়বে। আজ সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।

কলকাতায় দেখা মিলল ওবায়দুল কাদেরের

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে পান বলে এক বাংলাদেশি দাবি করেছেন।

ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম সকাল-সন্ধ্যার সম্পাদক গাজী নাসির উদ্দীন আহমেদ এর ফেসবুক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। যিনি ওবায়দুল কাদেরকে ওই হাসপাতালে দেখতে পেয়েছেন, তিনি এই সাংবাদিকের বন্ধু।

গাজী নাসির উদ্দীন আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমার এক বন্ধু কলকাতা গেছে ডাক্তার দেখাতে। অ্যাপোলো হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট শ্যামাশীষ ব্যানার্জীর জন্য অপেক্ষা করছিল। আজ বিকেলেই। ডাক্তারের রুম বন্ধ। ডাক্তারের ফোনও বন্ধ। ডাক্তারের সহকারী বলছেন, স্যার লাঞ্চে। ঘন্টার মতো অপেক্ষার পর রুমের কপাট খুলল। আকাশি রঙের টি-শার্ট ও প্যান্ট পরা এক ভদ্রলোক বের হলেন। লোকটাকে চিনে ফেলে ও যেই না বলছে, ‘ওবায়দুল কাদের না!’ ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক মুখে দিয়ে হন হন করে হেঁটে চলে গেলেন।

তিনি আরও লিখেন, আমার বন্ধু বলছে, ‘পুরা চকচক করতেছিলেন স্যার। চিন্তা করতে করতে ব্যাডা বাইরাইয়া গেলো।’ ওবায়দুল কাদের মানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এখন কলকাতায় আছেন। দেখে মনে হয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন।

চব্বিশের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একসময়ের প্রতাপশালী ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন, সুস্থ আছেন কি না— এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে জনমনে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখা যায়।

দলটির অনেক নেতার অবস্থানের ছবি, ফোনালাপ কিংবা ভিডিও বার্তা পাওয়া গেলেও ওবায়দুল কাদেরের অবস্থানের বিষয়ে পরিষ্কার কোনো কিছুই জানা যাচ্ছিল না। তাতে গুঞ্জনের ডালপালা আরও মেলে।

এর মধ্যে গত বছরের শেষ দিকে তিনি ভারতে পালিয়েছেন বলে কেউ কেউ দাবি করেছিলেন। একটি জাতীয় দৈনিক তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, ক্ষমতা হারানোর পর তিন মাস দেশেই ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি গত ৮ নভেম্বর শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম