1. abdyrrohim34@gmail.com : Daily Sobuj Bangladesh : Daily Sobuj Bangladesh
  2. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  3. mursalin1982@gmail.com : Protiva Prokash : Protiva Prokash
  4. reporting.com.bd@gmail.com : news sb : news sb
  5. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  6. mahtabur0@gmail.com : Daily Sobuj Bangladsesh : Daily Sobuj Bangladsesh
  7. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
পেশায় মিটার রিডার প্লট ফ্ল্যাটসহ গড়ে তুলেছেন কয়েক'শ কোটি টাকার সম্পদ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:১০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম বন্দরের ৫০ কোটি টাকার কর ফাঁকি, মূলহোতা গ্রেফতার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপ্রক্রিয়া পরিবর্তনে সবাই একমত: আলী রিয়াজ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ঢাকা ১৬ আসনে আমিনুল হকের পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটি ও স্থান থেকে বিমান-যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র রংপুরে মৃত ভাইয়ের সম্পত্তি দখল করে স্ত্রী সন্তানকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ত্যাগীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন চায় আমিনুল হক মেঘনা পেট্রোলিয়াম তেল চুরির হোতা এমডি কত টাকা ঘুষ দিয়ে জামিন পেলেন গানবাংলার তাপস?
পেশায় মিটার রিডার প্লট ফ্ল্যাটসহ গড়ে তুলেছেন কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পদ

পেশায় মিটার রিডার প্লট ফ্ল্যাটসহ গড়ে তুলেছেন কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পদ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ডিপিডিসি) এক মিটার রিডার মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্লট,ফ্ল্যাটসহ নামে বে-নামে কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। প্লট এবং ফ্ল্যাটের পাশাপাশি কোটি টাকা দামের কয়েকটি গাড়ীর সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। তার সম্পদের ফিরিস্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) চাঁদ উদ্যান এলাকার বাসিন্দা সোয়েব হোসেন দূদকে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডিপিডিসির মিটার রিডারের নাম একেএম রফিকুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ ও লালমাটিয়া ডিপিডিসি অফিসে মিটার রিডার হিসেবে চাকুরী করছেন। এই এলাকায় চাকরীর সুবাদে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান,চন্দ্রিমা হাউজিং,নবীনগর হাউজিং,ঢাকা উদ্যানসহ মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন বস্তি, অবৈধ বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, মোটর চালিত অটোরিকশার গ্যারেজে অবৈধ সংযোগসহ বিল কম আসতে মিটার টেম্পারিংয়ের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসব অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকার ১ নম্বর রোডে চারতলা একটি বাড়ি ও দুইতলা একটি বাড়িসহ ১০ কাটার একটি প্লট কিনেছেন। পাশাপাশি, মোহাম্মদপুরের লতিফ রিয়েল এস্টেট এলাকার ১ নম্বর রোড ১টি ফ্ল্যাট, কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় ১০ লাখ টাকা দিয়ে বোনকে একটি ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে দেওয়াসহ লালমাটিয়ায় ২০ কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়াও, হাইস ব্র্যান্ডের ৪টি গাড়ী। যা ডিপিডিসির হেড অফিসে কর্মকর্তাদের আনা নেওয়ার কাজে টেন্ডারের মাধ্যমে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এসব সম্পত্তি ছাড়াও নামে বে-নামে আরও অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলায় কয়েক একর আবাদী জমি কিনেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিপিডিসির লালমাটিয়া শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সে লালমাটিয়া ব্রাঞ্চের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের খুব কাছের লোক হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় মিটার টেম্পারিং,অবৈধ সংযোগ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চাঁদ উদ্যান এলাকার ১ নম্বর রোডের বাড়িগুলোতে সে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে আসছে। তার এক মাত্র নেশাই হলো, প্রতিবছর কখনো ফ্ল্যাট কেনা। আবার কখনো প্লট কেনা। চাঁদ উদ্যান এলাকায় সে ১০ কাটার আরেকটি প্লট বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা থেকে ১৫ কোটি দাম ধরে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে বায়না করেছে। এছাড়াও, বসিলা একটি হাউজিংয়ের তার ঘনিষ্ঠ এক ডেভেলপার ব্যবসায়ীর মাধ্যমে প্লট ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আসছে। ইতিমধ্যে এখন সরাসরি প্লট না কিনে প্লট ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে। তার এসব বিষয় ডিপিডিসির হেড অফিস জানার পরও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা হতাশায় রয়েছি। একবার আমাদের একজন মুখ খুলেছিলো। তখন তাকে চাকরী থেকে কয়েকদিনের জন্য বরখাস্ত করে চাকরী খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো। এজন্য তার ভয়ে কেউ এখন আর মুখ খুলতে চায় না। ডিপিডিসির কর্মকর্তা ছাড়াও, তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সে ফ্ল্যাট-প্লট,গাড়ি-বাড়ী ছাড়াও ঋণ দেওয়ার নামে বর্তমানে কয়েকটি এমএলএম ব্যবসা খুলে বসেছেন। যা প্রতিনিয়ত আলাদিনের চেরাগের মতো আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠছেন।

তার এমন সীমাহীন দূর্ণীতির বিষয়ে কয়েকদফায় বর্তমানে কর্মরত লালমাটিয়া ডিপিডিসি অফিসে গিয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে সে তার কল দেওয়া ফোনটি রিসিভ না করে তার ব্যবহৃত অন্য নাম্বারে ফোন দিয়ে প্রতিবেদককে র‍্যাব,গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজেএফআই,এনএসআই) দিয়ে তুলে নেওয়া এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। যা প্রতিবেদকের কাছে ফোন কলের রেকর্ডটি সংরক্ষিত আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞপ্তি




স্বত্ব © দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ ২০২১

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »