
আমতলী সংবাদদাতাঃ
আমতলী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন হাওলাদারসহ ৫ জনের নামে ৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদী হুমায়ুন কবীর হিরু সাংবাদিক জসিম উদ্দিন হাওলাদারের আপন চাচাতো ভাই। পারিবারিক কলহের জেরে এই মামলা দায়ের হয়েছে মর্মে জানান অভিযুক্তরা। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর বাদীর ঘের ও বৈঠকখানায় রাতের আঁধারে আসামীরা আগুন দিয়ে পুরে ফেলে। এতে বাদীর সাড়ে চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাদী-বিবাদী উভয়ের পারিবারিক কবরস্থানের পাশে রেডক্রিসেন্টের ক্লাব ছিল। সেটা রাতের আধারে আগুনে পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রেডক্রিসেন্ট ক্লাবটি অজ্ঞাত কারণে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর হুমায়ুন কবির হিরু আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
রেডক্রিসেন্ট সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয়রা জানান, ক্লাবের অনেক আসবাবপত্র ছিল সেগুলো আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে খালি ঘরে হুমায়ুন কবীর হিরু নিজেই আগুন দিতে পারে বলে আমরা ধারণা করি।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, হুমায়ূন কবির হিরু সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কারণে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে ইতিপূর্বেও আমাদের হয়রানি করে আসছিলো। আমি আমতলীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করি। গত এক বছর আমি গ্রামের বাড়ীতে যাইনি। আমাকেসহ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যই এই মিথ্যা মামলা। তিনি আরও বলেন, এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হুমায়ুন কবীর হিরু আর কতকাল আমাদেরকে হয়রানি করবে? হিরু ইতিপূর্বে ফেনী জেলায় দায়েরকৃত মামলাসহ বিভিন্নভাবে আমাদেরকে জেল খাটিয়েছে। এছাড়াও মামলার সাক্ষীরা প্রায় সবাই আওয়ামীলীগের সদস্য। এদের মধ্যে ২নং সাক্ষী বশির রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
মামলার ৩নং আসামী নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার বাদী হিরু আমার সৎ ভাই এবং আমি আমতলী এমইউ মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। জমিজমার থেকে বঞ্চিত রাখার জন্য বিভিন্ন সময় আমার সৎ ভাই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।
মামলার বাদী মোঃ হুমায়ুন কবির হিরুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জগলুল হাসান জানান, হুমায়ুন কবীর হিরুর বসত ঘরের দক্ষিণ পাশের বৈঠকখানা অজ্ঞাত কারণে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন।