তারিখ লোড হচ্ছে...

গোলাগুলি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বুধবার সকাল থেকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে বলে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় থেমে থেমে গোলাগুলির খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছেন।

ইউএনও আরও বলেন, ঘটনাটি যেহেতু শূন্যরেখায় সেখানে আন্তর্জাতিক রীতিমতে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তারপরও সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে।

দুপুরের দিকে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুতুপালং আশ্রয়শিবির সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানান উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

তিনি বলেন, এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত রোহিঙ্গার নাম হামিদ উল্লাহ (২৭)। আর আহত হয়েছেন মহিদ উল্লাহ (২৫)।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকাল থেকে অব্যাহত গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেখানে কী হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। ঘটনায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

খাগড়াছড়ি গণপূর্তের প্রকৌশলী দুর্নীতির শীর্ষে– জিম্মি ঠিকাদাররা!

রায়হান হোসাইন,  চট্টগ্রামঃ-

খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ঘীরে দূর্নীতি বিস্তার লাভ করেছে। তার বিরুদ্ধে টেন্ডার কারচুপি, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া, দরদাতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেওয়া, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবেচিত দরদাতাদের কাজ নিজের পছন্দের মানুষদের দিয়ে করানোসহ নিজেই ঠিকাদার হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
ঠিকাদারদের অর্থ আত্মসাতসহ টেন্ডার নয় ছয় করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও তৈয়বীয়া ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান বলেও জানা যায়। যা তার বড় ভাইয়ের নামে নামমাত্র।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাতর হোসেন নাকি অনেক প্রভাবশালী। ঘুষ ছাড়া সই করেন না কোন দাপ্তরিক কাজে। ইতিমধ্যে এই সরকারী কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নিজের জেলা ফেনীতে তার নামে বেনামে জমিসহ কয়েকটি প্লটও রয়েছে এ ছাড়াও চট্টগ্রামের কর্ণেলহাটে ৫ তলা বিল্ডিং এর কাজ চলমান রয়েছে। বেশ কয়েকটি দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগপত্র সরকারি বেশ কয়েকটি দপ্তরে জমা দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। গত ০৫/০২/২০২২ইং তারিখে একটি অভিযোগপত্রে উল্ল্যেখ আছে, তিনি খাগড়াছড়ি গণপূর্ত উপ-বিভাগের তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন ঠিকাদারকে টেন্ডার পাওয়ার পরে উক্ত কাজ নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করার জন্য দরপত্র গ্রহীতাকে মোটা অংকের ঘুষের প্রলোভন দেখায় ও নানা ছলছাতুরী করে পরে এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে তিনি প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের মাধ্যমে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকেন। এখানে আরো উল্লেখ আছে, তিনি ৯৫% ঠিকাদারকে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী ও প্রভাবশালী মহল দ্বারা হুমকি ধমকি দিয়ে হয়রানি করেন।

এন সি এন্টারপ্রাইজের মালিক নোমান চৌধুরী বলেন, তিনি কাজ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে কোন কাজ দেননি। টাকা কিংবা কাজ চাইলে তিনি আমাকে প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসন দিয়ে হুমকি দেন।
তার এহেন কর্মকান্ডে ঠিকাদারদের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে ফলে সরকারি পরিকল্পনা ও নির্দেশনা থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অবহেলিত এ পার্বত্য জেলাটি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে গণপূর্ত বিভাগের খাগড়াছড়িস্থ উপ সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসবকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, কাজ করতে গেলে কিছু ভুল-ত্রুটি বা অনিয়ম হওয়া স্বাভাবিক। তবে সেটা এত ব্যাপক নয়। তবে সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ীই কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম