কুমিল্লায় অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন

মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার, কুমিল্লা থেকেঃ

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের বিআরটিএ প্রণীত খসড়া নীতিমালা সংশোধন ও অ্যাম্বুলেন্সের বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশনের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন করেছে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ এ্যম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সাত দফা দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে ২০২৩ বিআরটিএ কতৃক খসড়া নীতিমালা সংশোধনী, অ্যাম্বুলেন্সের বাণিজ্যিক রেজিষ্ট্রেশন, জাতীয় জরুরি সেবা এম্বুলেন্সে ২৪ ঘন্টা সিএনজি ও গ্যাস চাই, দেশের সকল রাস্তা ও সেতুতে (অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি) টোল ফ্রি বাস্তবায়ন, সকল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স, পার্কিং সুবিধা এবং বকেয়া আয়কর মওকুফ  সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট কর্তৃক হয়রানি থেকে মুক্তি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ, সহ সাধারণ সম্পাদক মিন্টু,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে অ্যাম্বুলেন্স মালিক, চালক ও শ্রমিকরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, ‘বিআরটিএ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতা এবং অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার শর্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। আমাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।’

দেড় মাসে আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে মোবাইল এনেছে তারা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার তারা মিয়ার ছেলে আবু তাহের (২৬)। কয়েক বছর আগেও ছিলেন ৬ হাজার টাকা বেতনে মোবাইলের দোকানের কর্মী। কিন্তু বর্তমানে তার নেতৃত্বে চোরাই পথে দেশে আসছে হাজার হাজার অবৈধ মোবাইল ফোন।
বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল ফোনসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব বলছে, এই চক্রটি গত দেড় মাসে পাঁচ চালানে আড়াই হাজারের বেশি অবৈধ মোবাইল ফোন দেশে এনে বাজারে ছেড়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা আবু তাহের (২৬), মো. মেহেদী হাসান (২২), মো. রুবেল হোসেন (২৯) ও মো. নুর নবী (৩২)এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ শতাধিক ফিচার ও স্মার্ট ফোন, অবৈধ মোবাইল পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার ( ৩০ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল কুমিল্লার ভারতীয় সীমান্ত থেকে এনে বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০৮ টি চোরাই মোবাইলফোন, দুই টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও বলেন, এই চকটি ভারতীয় কারখানায় তৈরী বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর মাধ্যমে কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসত। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারনে অধিক লাভের আশায় গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এ সকল ফোনের আইএমআই নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা ভারতীয় এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত আবু তাহের ভারত মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত ৩ বছর আগে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। তখন থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকুরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে। অল্প সময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় এবং তার এই অপরাধ কর্মকান্ডটি বিস্তৃত করতে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের পাঁচটি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী উক্ত চক্রটির মূলহোতা আবু তাহেরের অন্যতম সহযোগী। সে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বাসিন্দা। তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে চোরাইপথে মোবাইল আমদানির চক্রে তাহেরের সাথে জড়িয়েছে বলে জানা যায়। গত দেড় মাসে সে তাহের এর সাথে মিলে পাঁচটি বড় চালান নির্বিঘ্নে ঢাকায় সরবরাহ করেছে। তার দাবী সে কুমিল্লা সদরের জনৈক সাজ্জাদ ওরফে শাকিল কর্তৃক বেতনভুক্ত কর্মচারী তবে তার এই দাবীর সত্যতা পাওয়া যায় নি।

ডিআই/এসকে

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম