ভূমিকম্পে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকস্পে সিরিয়ায় অন্তত ২৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন। সিরিয়ায় হতাহতের সংখ্যা আর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় সেখানে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, লাতকিয়া ও টার্টাসে কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩৯ জন। এছাড়াও তুর্কিপন্থীদের নিয়ন্ত্রসিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদের একটি জরুরি বৈঠক করেন।

তুরস্ক সীমান্ত থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে সিরিয়ার সালাকিন শহরের কথা উল্লেখ করে উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটের একজন সদস্য টুইটারে একটি ভিডিও ক্লিপে বলেছেন, এখানকার অবস্থা খুবই নাজুক। এই শহরের বহু স্থাপনা ধসে গেছে।

ভিডিও ক্লিপটিতে ওই উদ্ধারকারী বলেন, এখানকার বাড়িগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

সিরিয়ার আতমেহ নামক একটি শহরের চিকিৎসক মুহিব কাদ্দুর টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, এই শহরে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আরও অনেককে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি মৃতের সংখ্যা শতাধিক। আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি।

সিরিয়ায় চলমান ১২ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলের অনেক ভবন ইতোমধ্যেই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিরিয়ার একাধিক শহরে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে নেমেছেন স্থানীয় উদ্ধারকর্মী ও বাসিন্দারা।

 

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার জেরে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।

শনিবার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ‘আবদালি’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদালি অস্ত্র ব্যবস্থা (এডব্লিউএস) নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ইন্দুস’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম এবং উন্নত ম্যানুভারেবিলিটি বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যাচাই করা।

এতে বলা হয়, আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের (এএফএসসি) কমান্ডার, কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগ, এএফএসসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দেশের কৌশলগত বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা উৎক্ষেপণটি প্রত্যক্ষ করেছেন।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং সেনাবাহিনী প্রধানরা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সেনা, বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান এমন এক সময়ে আবদালি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যখন জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে।

গত ২২ এপ্রিলের ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন এবং ২০০০ সালের পর থেকে এটি বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলে সবচেয়ে মারাত্মক সশস্ত্র হামলাগুলোর মধ্যে একটি। এই হামলায় ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। যদিও এই দাবি ইসলামাবাদ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।

এদিকে সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের এমন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে ভারত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম