আশুলিয়ায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ; আহত ১০

ফরহাদ হোসেন, আশুলিয়া ঃ

আশুলিয়ায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

আশুলিয়ার কলতাসূতি নামাপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, কলতাসূতি নামাপাড়া এলাকার সোনা মিয়া পরামানিকের ছেলে হাফিজ উদ্দিন পরামানিক (৪০), রেজাউল করিমের ছেলে সজিব (২৫), আব্দুল গফুরের ছেলে মাসুদ (৩২), আব্দুল গফুর (৬০), নবী হোসেন (৩০), ওহেদ আলী মাঝির ছেলে রফিক (৫০), রহিজ উদ্দিন (৫০), তার ছেলে আব্দুস সামাদ (৩০), আমজাদ হোসেন ওরফে গেদুর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০) সহ অন্তত ১০ জন।

এলাকাবাসি জানায়, সকালে স্থানীয় একটি পুকুরে মাছ ধরা এবং চুরি করার বিষয়ে স্থানীয় মাদবর মোতালেব পরামানিক ও আব্দুল গফুর বিষয় জানতে যান আলমগীর ও রহিজ উদ্দিনের কাছে। পরে বাক বিতন্ডা হয়। পরে বিষয়টি উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়্ব পড়লে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের মত আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে আলমগীর নামের একজনকে ঢাকা নিউরো সার্জারি এবং সজিব ও মাসুদ নামের দুইজনকে রাজধানীর শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনায় আশুলিয়া থানায় উভয় পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করেই মূলত এঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জনের মত আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সখিপুরের ১’৭২ মিটার কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন

আজিজুর রহমান বাবু। শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

সখিপুরের আনু সরকারের কালভার্ট থেকে দরজি কান্দি ১’৭২ মিটার কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বৃষ্টির সময় স্হানীয় জনগন ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। এমন কী জটিল রোগীর চিকিৎসায় জরুরী সেবা প্রদান করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন সরকার বলেন – ” রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত,শীত মৌসুমে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে সম্পূর্ন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে “।

উক্ত এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে রাস্তাটি যেন দ্রুত পাকাকরণ করে জনগনের দুর্ভোগ লাঘব করতে সচেষ্ট হবেন।

এই প্রসংগে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার ওয়াসেল কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন – সমস্যাটি আমার নজরে এসেছে, অচিরেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জনস্বার্থে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জরুরী ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে দৈনন্দিন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম