রাজউক শ্রমিক কর্মচারী লীগের নেতৃত্বের ওপর আস্থা নেই সিংহভাগ শ্রমিক কর্মচারীর!

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের একটি শাখা বা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( রাজউক) এ। এই ইউনিটটির নাম- রাজউক শ্রমিক কর্মচারী লীগ। যার রেজি: নং ঢাকা-৩৮৭৩। গত ০২/০৩/২০২১ তারিখে বিনা প্রতিদ্বদিন্দ্বতায় এই ইউনিটটির ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটি অনুমোদন দেয় বিভাগীয় শ্রম দপ্তর ঢাকা। যার স্মারক নম্বর ৪০.২০.০০০০.১০১.৩৪.০০২.৯৯.৩৯৮ তারিখ: ২৯/০৩/২০২১ইং। দুই বছর মেয়াদী এই কমিটির বিভিন্ন পদে যারা রয়েছেন তারা হলেন: রাজউক কর্মচারি আবুল বাশার শরীফ-সভাপতি,জাহিদুল ইসলাম সবুজ-কার্যকরি সভাপতি,ইউসুফ মিয়া,হাবিবুর রহমান, মোল্লা শরিফুল ইসলাম -সহসভাপতি, মো: নাছিরউদ্দিন চৌধুরী -সাধারন সম্পাদক,জাহাংগীর আলম -যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,কাবুল হোসেন শেখ -যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,আব্দুল মোমিন-সাংগঠনিক সম্পাদক,রোমাজ্ঝেল হোসেন খান-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,মো: দেলোয়ার হোসেন খান -কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদক। আগামী ০১/০৩/২০২৩ তারিখে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বিগত দুই বছর ক্ষমতায় থাকা রাজউক শ্রমিক কর্মচারী লীগের এই কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজউক শ্রমিক- কর্মচারিদের অভিযোগের অন্ত নেই। তাদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনি”ছুক এই সব শ্রমিক কর্মচারীরা বলেন, বিগত দুইটি বছরে কমিটির ৪/৫ জন নেতা হেন অপকর্ম নেই যা করেন নি। তারা রাজউক শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে ঠিকাদারী, চাঁদাবাজী,টেন্ডার বাণিজ্য প্ল্যান পাশ,প্লট জালিয়াতি,প্লটের ফাইল গায়েব, নকশা জালিয়াতি, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের শাররীক নির্যাতন, এমন কি সাংবাদিকদের সাথেও মাস্তান সুলভ ব্যবহার করে সংগঠনটিকে কলংকিত করে ফেলেছেন।
তারা অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকার সম্পদ উপার্জন কে ছেন। কালোপথে উপার্জিত টাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নামে বেনামে বাড়ি,গাড়ি.মার্কেট ও জমা জমি ক্রয় করেছেন। বেধ আয়ের উৎস বিহীন এসব অর্থ সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ ছাড়া ফাইল গায়েরসহ আরো গুরুতর কিছু দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সভাপতি আবুল বাশার শরীফকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করেছে রাজউক প্রশাসন।
অন্যদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও নানা প্রকার অপকর্মের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন চলমান কার্যকরি কমিটির সভাপতি শরীফ আবুল বাশার শরিফ, সহ সভাপতি,ইউসুফ মিয়া, সাধারন সম্পাদক- মো: নাছিরউদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক,আব্দুল মোমিন প্রমুখ। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে।
সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো: চলতি কমিটিতে সুস্পষ্ট বিধি বিধান থাকার পরও এক তৃতীয়াংশ মহিলা সদস্য রাখা হয়নি। ২০২১ সালে সভাপতি আবুল বাশার শরীফ ও সাধারন সম্পাদক মো: নাছির উদ্দিন চৌধুরী তাদের ইচ্ছে খুশি মত কমিটি তৈরী করে সেটিই শ্রম অধিদপ্তরে জমা দেন। এবং মোটা অংকের টাকা খরচ করে কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেন। যে কারণে এই কমিটির কারো কাছেই গ্রহনযোগ্যতা পায়নি।
রাজউকের সিংহভাগ শ্রমিক-কর্মচারির অভিমতে দেখা গেছে, বাশার শরীফ ও নাছির চৌধুরীর এই কমিটির ২৫% সমর্থনও নেই। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে তাদের শত প্রকার অন্যায় অবিচার ও অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ রুঁখে দাঁড়াতে সাহস পান না। তবে এবার তারা কোন ভাবেই পকেট কমিটি করার সুযোগ দেবেন না। সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও শ্রম অধিদপ্তরের বিধি বিধান মেনেই তারা নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চান।
এ বিষয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর ঢাকা এর পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিধি বিধান সঠিকভাবে পরিপালন করেই কমিটি অনুমোদন বা সত্যায়ন করা হবে।

ডিবির হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার॥

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই আবেদন করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে আদালত মামলা গ্রহণের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরমান হোসেন  তথ্য জানান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীরা, কক্ষে কক্ষে তাণ্ডবের অভিযোগ
৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। তারপর আজ শনিবার প্রথম কার্যালয়ে যান দলটির নেতাকর্মীরা

নাজিম উদ্দিনের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার  বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালত মামলা গ্রহণের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি ছিল। তার আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী। সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানের পর ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৩০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও ককটেল পাওয়া গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ৫০ সদস্য আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন চারটি মামলা হয়। পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পুলিশের করা পৃথক চার মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। প্রতিটি মামলায়ই আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়।

১৮ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করা হয়, ৭ ডিসেম্বর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলা হয়। সেদিন পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকেন। তাঁরা বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালান। মালামাল লুট করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রায় ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা