আয়ান শর্মার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশের বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক ও উপদেষ্টা সম্পাদক আয়ান শর্মাকে হুমকি, মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে ‘বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটি।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আয়ান শর্মাকে পিএইচপি গ্রুপের এমডি ইকবাল হোসেনের দেওয়া মিথ্যা মামলা ও হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আনোয়ার হোসেন আকাশের সভাপতিত্বে এবং সরকার জামালের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক রূপবাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. ফারুক আহম্মেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইন, সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমান রুবেল।
আরও বক্তব্য দেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, নতুন খবর সম্পাদক আকাশ মনি, ডিইউজে’র সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, সিনিয়র সাংবাদিক মো. মাহফুজ জাহিদ, দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার মো. রাজীব তালুকদার, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ইসলাম উদ্দিন তালুকদার ও মোহাম্মদ ওয়াহিদ।

দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শুধুই হুমকি কিংবা অপপ্রচার নয়, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার ও প্রকাশক আয়ান শর্মাকে আসামি করে পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক আমির হোসেন দুটি মানহানি মামলা ও ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন। যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সামিল। একইসঙ্গে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনও।

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক আয়ান শর্মাকে পিএইচপির এমডি ইকবাল হোসেন চৌধুরী যে ভাষায় হুমকি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং জঘন্যও। পিএইচপির মতো একটি শিল্প গ্রুপের মালিকের মুখে এমন লজ্জাজনক ভাষায় হুমকি একেবারেই বেমানান। পত্রিকার মালিককে কচুকাটার হুমকি মানে, তাদের কাছে কোনো সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়।’

মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর মিথ্যা মামলা এবং হুমকি দেওয়ার ঘটনা সাংবাদিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিকরা সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য কাজ করেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি তারা মিথ্যা মামলা কিংবা হুমকির শিকার হন, এটা নিঃসন্দেহে বাক স্বাধীনতার হুমকি। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ঘটনায় জড়িত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হুমকি ও মিথ্যা মামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিভিন্ন সময় এই ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় তা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। যেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক-স্বাধীনতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কতিপয় ব্যবসায়ী কর্তৃক সাংবাদিককে হুমকি ও হয়রানির চেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং মিথ্যা মামলা দায়ের থেকে পিএইচপিকে বিরত থাকার এবং দায়েরকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলে জানান বক্তারা।

তারাকান্দায় শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

হুমায়ুন কবির:

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক এগারো বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারপূর্বক ১৯ জুলাই (বুধবার )আদালতে সোপর্দ করেছে থানা পুলিশ।

১৭ জুলাই(সোমবার )দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হরিয়াগাই ঈদগাহ দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসায়।

অভিযুক্ত শিক্ষক ধোবাউড়া উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র মতিউর রহমান শামীম (২৩)।এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শামসুর রহমান জানান, মাদ্রাসাটির নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে ঐ মাদ্রাসারই শিক্ষার্থীদের ঘুমানোর ঘরে বলাৎকার করে ঐ শিক্ষক। এ সময় উক্ত শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানপূর্বক বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্যও বলে সে। বলাৎকারের শিকার শিশুটি এরপর বাড়িতে এসে তার মাকে বিষয়টি জানালে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপর শিশুটির মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সকল ধরনের আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম