তারিখ লোড হচ্ছে...

বাহরাইনি দ্বীপ কিনল ইসরাইল

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক ॥

২০২০ সালে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে বাহরাইন। এ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর মধ্যেই নতুন খবর বেরিয়েছে যে, ইসরাইল বাহরাইনের কাছ থেকে একটি দ্বীপ কিনে নিয়েছে।

মিডেল ইস্ট মনিটর আল-মায়াদিন টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরাইলের টিভি৭ প্রথম খবরটি প্রচার করলেও পরে তা সরিয়ে নেয়। কিন্তু সরানোর আগেই বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এর স্ক্রিনশট নিতে সক্ষম হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি ফার্ম হিমনোটা ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে দ্বীপটি কিনেছে। ফার্মটি চালায় ইহুদি জাতীয় তহবিল বা জেএনএফ। কথিত দাতব্য সংস্থাটির কাজ হলো ফিলিস্তিনি ভূমি দখল এবং ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের পক্ষে সাফাই গাওয়া।

খবরে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৫৫৪ বর্গ মিটারের দ্বীপটি বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি কোনো কারণে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ইসরাইলিদের সেখানে সরিয়ে নেওয়া হবে।

কোম্পানির পরিচালনা পরিষদে থাকা অ্যাভেরি শ্নেয়ার বলেছেন, দ্বীপটির সার্বভৌমত্ব ইসরাইলের কাছে হস্তান্তরের জন্য বন্ধু দেশ বাহরাইন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এ খবর সামনে আসার পর বাহরাইন সরকারের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা চলছে। মানবাধিকারকর্মী মরিয়ম আল খাজা দ্বীপ কেনার ঘটনাকে ঔপনিবেশিক শাসনের সম্প্রসারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে টুইটারে দেওয়া পোস্টে দেশটির সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

বাহরাইনের সাবেক আইনপ্রণেতা এবং সালম ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের প্রধান জাওয়াদ ফাইরুজ দ্বীপ বিক্রির ঘটনাকে খুবই বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনক সংকেত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন

স্টাফ রিপোর্টার: 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপির জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ । বুধবার ২৮ আগষ্ট বিকেলে চকরিয়া শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে জনসভায় বক্তব্য বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ সন্ধ্যা সাতটায় কক্সবাজারের পেকুয়া চৌমুহনীতে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দিল্লিতে বসে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য পাঁয়তারা করছেন তিনি। ১৫-১৭ বছর তাঁর ফ্যাসিবাদের দোসরেরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় এখনো বসে রয়েছেন এবং মনে করছেন, বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, এ দেশের ছাত্র–জনতা সে সুযোগ দেবে না। বহির্বিশ্বের কোনো শক্তির কোনো ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের ছাত্র–জনতা সফল হতে দেবে না।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা কখনো জনগণের সামনে আবার রাজনীতি করতে এলে আপনারা তাঁদের প্রত্যাখ্যান করবেন। এই মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে পবিত্র হয়েছে। সুতরাং হাসিনা ও তাঁর দোসরদের দ্বারা আর কখনো অপবিত্র হতে দেব না।’ পেকুয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামের বাড়ি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন। ১০ বছরের বেশি সময় পর আজ নিজ জেলা কক্সবাজারে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর দলের নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে পেকুয়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ। সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন। সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী সহ অনেক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদ চকরিয়া শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন।

 

সবা:স:জু-২৪২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম