এপিএস ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুর্নীতিতে আটকে আছে মেডিকেল টেকনোলোজিস্টের নিয়োগ

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক॥
গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্যখাতে লোকবলের অপ্রতূলতা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিলো। বিশেষ করে মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও টেকনিশিয়ানের অপ্রতূলতায় মহাসংকট সৃষ্টি হলো। করোনা মোকাবেলায় শুরুতেই প্রয়োজন হয় ব্যাপকহারে করোনা টেস্ট। কিন্তু টেস্ট যারা করবে সেই টেকনোলোজিস্ট ও টেকনিশিয়ানের নিয়োগ হচ্ছিলো না দীর্ঘদিন। ফলে এমনিতেই লোকবলের ঘাটতি ছিলো। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই পদের লোকবলের আরো মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিলো। তাৎক্ষণিকভাবে এতো লোকবলের প্রয়োজন হলো যে, সরকার বাধ্য হলো বাইরে থেকে চুক্তিতে লোকবল এনে কাজ করাতে। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে সেই চুক্তির লোকবলকে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলো। কিন্তু সেই নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে প্রমাণও পাওয়া যায়। আন্দোলন-সংগ্রাম চলতে থাকে। এই পর্যায়ে সরকার নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ৮৮৯ জন এবং মেডিকেল টেকনিশিয়ান ১৮০০ জন নিয়োগের জরুরি অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ সেই জরুরি নিয়োগ দীর্ঘ সোয়া এক বছরেও শেষ করা যায়নি। মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে আটকে আছে গত প্রায় ৬ মাস ধরে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির-জালিয়াতির অভিযোগ উঠে। খোদ নিয়োগ কমিটিরই দু’জন সদস্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সুনিদিষ্ট তথ্যপ্রমাণসহ। নিয়োগ কমিটির সদস্যরা দুর্নীতি-জালিয়াতির অভিযোগ তোলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাধ্য হয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান এর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই তদন্ত কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও ইতিমধ্যে প্রায় ৫ মাস অতিক্রম হতে চলেছে এখন পর্যন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাবেক এপিএস আরিফুর রহমান এবং অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমামকে দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচানোর জন্য তদন্ত কমিটির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু এপিএস আরিফ এবং পরিচালক (প্রশাসন) কে দুর্নীতির দায় থেকে ছাড় দেয়া একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। আর এ কারণেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা যাচ্ছে না। নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব, উপপরিচালক (প্রশাসন) আবুল হাশেম শেখ এর অভিযোগ তদন্ত করতে গেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্রীনিবাস দেবনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এবং তার কললিস্ট খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ, তিনিই ডা. হাশেমের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাকে কোটি টাকা ঘুষ এবং পদোন্নতির অফার করেছিলেন। এমনকি এপিএস আরিফের সঙ্গেও কথা বলিয়ে এসব অফার কনফার্ম করে দিয়েছিলেন। এখন শ্রীনিবাসকে টান দেয়া হলে এপিএস আরিফ নিঃসন্দেহেই ফেঁসে যাবেন। অন্যদিকে উপসচিব শারমিন আক্তারের লিখিত অভিযোগটি ছিলো নিয়োগ পরীক্ষার খাতা পরিবর্তন বা জাল-জালিয়াতি নিয়ে। এটি তদন্ত করতে গেলে পরিচালক (প্রশাসন) হাসান ইমাম নিশ্চিতভাবেই ফেঁসে যাবেন। কারণ তিনি নিয়োগ কমিটির সভাপতি, শুরুতে তাকেই জবাব দিতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার খাতা কীভাবে পরিবর্তন হলো, কীভাবে এতো ভয়াবহ জাল-জালিয়াতি হলো। যদিও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসান ইমাম নিজের দায় এড়ানোর জন্য পরবর্তীতে গণমাধ্যমে নানা কথা বলেছেন। তিনি উল্টো ডিজির ওপর এসবের দায় চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন, যদিও ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিজে তৈরি করেননি, হাতে নিয়ে দেখেননি, লিখিত পরীক্ষার খাতার ধারেকাছেও যাননি, কারো জন্য তদবিরও করেননি অর্থাৎ নিয়োগ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। বরং এটা স্পষ্ট যে, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে ডিজি বার বার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু নিয়োগ কমিটির সভাপতি হাসান ইমাম এবং নেপথ্যের গডফাদার এপিএস আরিফ সিন্ডিকেটের লাগামহীন দুর্নীতিপ্রবণতার কারণে তার ওই সব ভালো চেষ্টাগুলো সফল হয়নি।
উল্লেখ্য, নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল হাশেম শেখ এবং তার আগে নিয়োগ কমিটির আরেক সদস্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান লিখিত অভিযোগ দেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির ব্যাপারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টেকনোলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ও নিয়োগ কমিটির সদস্য শারমিন আক্তার জাহান স্বাস্থ্যসেবা সচিবকে চিঠি দেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। শারমিন আক্তার জাহান লিখেন, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অত্যন্ত কঠিন ছিল। কঠিন প্রশ্নেও উত্তীর্ণদের বেশির ভাগ অনেক ভালো নম্বর পান। কিছু খাতা খুলে দেখা যায়, মুক্তার মতো হরফে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখা, যেখানে কলম ধরার কোনো সুযোগ নেই। এত নম্বর পাওয়া খুবই অপ্রাসঙ্গিক ছিল।
চিঠিতে শারমিন আক্তার আরও উল্লেখ করেন, মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলে দেখা যায়, যাঁরা অনেক নম্বর পেয়েছেন, তাঁরা মৌখিক পরীক্ষার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না। যাঁরা ৪০ থেকে ৫৯ পর্যন্ত নম্বর পেয়েছেন, তাঁরা অনেক ভালো মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া ডা. আবুল হাশেম শেখ গত ৮ মার্চ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে একটি চিঠি দিয়ে তাঁকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। তখন স্বাস্থ্যসচিবের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল মান্নান। চিঠিতে ডা. আবুল হাশেম লিখেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা) শ্রীনিবাস দেবনাথ গত ১ মার্চ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। তখনই তিনি ঘুষের প্রস্তাব দেন।
ডা. হাশেম আরও লেখেন, ‘তিনি (শ্রীনিবাস) বললেন শুক্রবারে আপনাকে এক কোটি টাকা দেব, কোথায় দেখা করব? আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী জন্য আমাকে এত টাকা দেবেন? তিনি জানালেন, আমরা যে তালিকা দেব, তাঁদেরকে ভাইভা বোর্ডে পাস করিয়ে দিতে হবে। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় ভালো করেছেন।’
সেদিনের সাক্ষাৎকালে উপসচিব শ্রীনিবাস উপপরিচালক ডা. হাশেমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতির লোভ দেখান বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। এতে ডা. হাশেম আরও লেখেন, কথা বলার সময় শ্রীনিবাসের মুঠোফোনে একটি ফোন আসে। শ্রীনিবাস ফোনটি তাঁকে দিয়ে বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এপিএস কথা বলবেন। তখন আরিফুর নামে একজন বলেন (ডা. হাশেমকে), তিনি যেভাবে বলেছেন সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
অথচ এখন এপিএস আরিফ এবং পরিচালক (প্রশাসন) হাসান ইমামকে দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার জন্য জোর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে তদন্ত কমিটিও রিপোর্ট জমা দিতে পারছে না। যার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়াও আটকে রয়েছে।

সূত্রঃ (সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ৩০ আগস্ট ২০২১ প্রকাশিত)

 

টিকটকের রমরমা বাণিজ্যে দিশেহারা তরুণ সমাজ

স্টাফ রিপোর্টার॥

বাংলাদেশে ‘টিকটক’ অ্যাপের ব্যবসা বাড়াতে হঠাৎ করেই দেশের শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে শুরু করা হয়েছে প্রচার-প্রচারণা। নাচ-গান-সিনেমার সংলাপ কিংবা রান্নার রেসিপিও মিলছে টিকটক ভিডিওতে। তবে, টিকটকের অশ্লীল ভিডিও, মাদক সেবনসহ আপত্তিকর বিভিন্ন ভিডিওর কারণে যখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো টিকটককে একে একে বন্ধ করা শুরু করেছিল, সেই নিষেধাজ্ঞা কী করে অতিক্রম করল টিকটক? অনুসন্ধানে জানা যায়, বড় অঙ্কের লেনদেনে বাংলাদেশে নির্বিঘে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে টিকটক। এ দেশে টিকটকের রমরমা বাণিজ্যে দিশেহারা যুবসমাজ।

রুচিহীন ভিডিও দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করে নিজের পরিচিতি পাওয়ার প্রবণতাকে ভয়াবহ মানসিক অসুস্থতা বলছেন মনোবিদরা। টিকটক একদিকে যেমন অশ্লীল রুচিহীন কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে তৈরি করছে মানসিক বৈকল্য।

গুলশানে এক রিকশাচালক বাসের সঙ্গে পাল­া দিয়ে রিকশা চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যেও মোবাইল ফোনে সচল রেখেছেন টিকটক অ্যাপ। রিকশা চালাচ্ছেন আর পছন্দের গানের সঙ্গে ক্রমাগত মুখোভঙ্গি করে ঠোঁট মিলিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি আপ হলে লাইক, শেয়ারের বন্যা বইবে বলে ধারণা তার। ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ করতে গিয়ে ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা।

২০১৬ সালে চীনে টিকটকের জন্ম হলেও সেখানে এখন এটির ব্যবহার অনেক কম। অথচ বাংলাদেশে এই অ্যাপটি জনপ্রিয়তায় এক নম্বরে।

সামাজিকমাধ্যমে লেখালেখি করা রাজীব নূর বলেন, আমি গত দুই মাস ধরে নিয়মিত এক ঘণ্টা করে টিকটক দেখেছি। অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম। টিকটক অন্য এক দুনিয়া। ইয়াবার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় টিকটক নেশা। দুই-একটা উদাহরণ আমি দিচ্ছি। একজন বয়স্ক লোক টিকটক করছেন। পঞ্চাশের উপরে তার বয়স। লাল চুল, লাল দাড়ি। নাগিন নাচ দিয়ে এই লোক টিকটক করছেন। অতি কুৎসিত তার অঙ্গভঙ্গি। কোনো রুচিশীল মানুষ এরকম অঙ্গভঙ্গি করতে পারে না।

আরেকজন আছে এরকম বদ টিকটকার। অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী দাদা বিছানায় শুয়ে আছেন। দাদার জীবন যায় যায় অবস্থা। টিকটকার অসুস্থ দাদার চার পাশে ঘুরে ঘুরে নেচে নেচে টিকটক করছে। সে প্রচুর লাইক পেয়েছে। তার ফলোয়ারও প্রচুর। কথা হলো এখানে এত লাইক দেওয়ার কী আছে? কারা এখানে লাইক দিচ্ছে? ছেলেটা বাজে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এই টিকটক প্রজন্ম পাগল হয়ে গেছে। রিকশায় টিকটক করছে, বাথরুমে টিকটক করছে, বাস, গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ফাস্টফুডের দোকান, শপিংমল, ফুটপাত, রান্নাঘর, অফিস, বারান্দা, পার্ক, বাইক এমন কোনো জায়গা বাদ নেই যেখানে টিকটক করছে না। এটা অসুস্থ মানসিকতার লক্ষণ। এই প্রজšে§র ছেলেমেয়েদের অভিভাবকরা কি দেখছে না? কোন দিকে যাচ্ছে তাদের সন্তান? এদের ভবিষ্যৎ কী? এদের কথা কেউ ভাবছে না কেন?

ফেরদৌস আল মোত্তাকিন এবং টিকটক : ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি বগুড়া জেলার ফেরদৌস আল মোত্তাকিনকে টিকটকের হেড অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন্স অফিসার হিসাবে নিয়োগ দেয় কোম্পানিটি। মূলত বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে টিকটকের হয়ে সুসম্পর্ক তৈরি করে, নিষিদ্ধ হওয়া ঠেকানো এবং ইতিবাচক প্রচারণা বাড়িয়ে টিকটক কোম্পানির ব্যবসা বাড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়। দুবাই অফিসে নিয়োগপ্রাপ্ত ফেরদৌস আল মোত্তাকিন চাকরির সুবাদে পরিবারসহ থাকছেন সেখানে।

সম্প্রতি সমালোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে নতুন করে টিকটক ব্যবসা চাঙ্গা করতে বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অঙ্কের টাকা দিচ্ছে কোম্পানিটি। যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার এই অ্যাপটি এ দেশে যেন বন্ধ করে দেওয়া হয় তার দাবি উঠেছে সচেতন মহলে।

ফেরদৌস আল মোত্তাকিনের সঙ্গে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল ধরলেও টিকটকের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

কে এই ফেরদৌস আল মোত্তাকিন? আর কেনইবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট বানিয়ে দেশে দেশে গিয়ে টিকটকের হয়ে নীতিনির্ধারকদের বাগে আনার দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে?

বগুড়া সদরের জহুরুল নগরের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া ফেরদৌস মোত্তাকিন ওরফে তুশার ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এমন অভিযোগ করেছেন বগুড়ার স্থানীয় জনগণ। বগুড়ার বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, ভিওআইপি ব্যবসার অবৈধ টাকা দিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার অ্যাস্যুরেন্স সিটি অ্যাপার্টমেন্টে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসহ সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে একাধিক এফডিআর করেন ফেরদৌস আল মোত্তাকিন। আফ্রিকার একটি মোবাইল কোম্পানি জিএসএমএ’তেও চাকরি করতেন তিনি। হঠাৎ করে তার শত কোটি টাকার মালিক হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ট্রাভেল এজেন্সি ‘ভিসাথিং’-এর চেয়ারম্যান ফেরদৌস মোত্তাকিন আদম ব্যবসার সঙ্গেও জড?িত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘রোমানিয়া ইনফরমেশন হেল্প ফর বাংলাদেশি’ নামের একটি প্রাইভেট গ্র“পে ফেরদৌস আল মোত্তাকিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভিসাথিং-এর প্রতারণা ও জালিয়াতি নিয়ে লাইভ প্রচার করা হয় গত ১১ জুন, ২০২৩ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন-টুয়াবের সদস্য (সদস্য নং-২৬১) ফেরদৌসের বিরুদ্ধে আদম ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগ মেলে। ফেরদৌসের অবৈধ সম্পদের তদন্ত চান ভুক্তভোগীরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা