ঢাকা মেডিকেলের বেশ কিছু অসাধু চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টারঃ

অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারের নামে একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ ২) এর সামনে অনৈতিকভাবে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সেন্টারটির সাথে ঢাকা মেডিকেলের বেশ কিছু অসাধু চিকিৎসক নামে বেনামে জড়িত। হাসপাতালের ইউরোলাজি বিভাগের চিকিৎসক, সহকারী অধ্যাপক ও আবাসিক সার্জন ডাঃ আফজালুল হক রানা উক্ত অসাধু ডাক্তার গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। ডাঃ রানার সাথে জড়িত আছেন নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধাপক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান রিজভী, মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ ইমরান মাহমুদ, নাক কান গলা বিভাগের রেসিডেন্ট ডাঃ মারজুক আল তুহিন, সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ মরতুজা আরেফিন মিশু, নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাঃ মাসরুর সিয়াম সহ আরো বেশ কয়েকজন। তারা নিজশ্ব প্রভাব খাটিয়ে দরিদ্র রোগিদের জোরপূর্বক যে সমস্ত পরীক্ষা ঢাকা মেডিকেলে সরকারিভাবে হয়, সে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা তাদের অথেন্টিক নামক সেন্টারে করতে বাধ্য করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত ডাঃ রানার সহযোগী ডাক্তারদের মাধ্যমে রোগীদের ঢাকা মেডিকেলের বাইরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করতে চাপ দিচ্ছে। তাছাড়া, ইউরোলজি বিভাগের বেড না থাকার মিথ্যা অযুহাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আগত রোগিদের অথেন্টিক হাসপাতালে বেশি খরচে যেসব অপারেশান স্বল্পমুল্যে ঢাকা মেডিকেলে হয় সেসব অপারেশন উচ্চমূল্যে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে ডাঃ আফজালুল হক রানা সহকারি অধ্যাপক হয়েও অনৈতিক ব্যাবসার উদ্দেশে আবাসিক সার্জন (ইউরোলজি) পদ দখল করে আছেন যাহা চাকরিবিধি পরিপন্থি। এখানে উল্লেখ্য যে নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রিজভী এবং মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ ইমরান মাহমুদ উক্ত অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বিকালে চেম্বার করেন এবং তারা সকলে ঢাকা মেডিকেলে আগত রোগিদের ফুসলিয়ে সেখানে বিকালে নিয়ে যায় এবং তাদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করায়।

আর উল্লেখ্য যে ডাঃ রিজভীর চানখারপুলস্থ স্পেশালাইজড আইসিইউ হাসপাতালেও শেয়ার রায়েছে এবং তারা সেখানে অবৈধভাবে মুমূর্ষু রোগি ভাগিয়ে নিয়ে যায়। সম্প্রতি মেডিসিন বিভাগের বেশ কয়েকজন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রারকে তারা রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ টাকার জোরে বদলী করে দেয়। বদলীকৃত ডাক্তারদের অপরাধ ছিলো তারা অথেন্টিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা পাঠাতে রাজী ছিলেন না। তাদের স্থলে তারা ডাঃ রানার অনুগত ও অথেন্টিক ডায়গনস্টিকের বেনামী শেয়ারহোল্ডার কিছু নবীন চিকিৎসককে পোস্টিং করায় যারা তাদের অপকর্মের সহযোগী। তারা অন্যান্য ডাক্তার ও হাসপাতালের স্টাফদেরও হুমকি দেয়। গত ২২/০২/২০২২ ইং তারিখে ক্রমিক নং ১৩৯০ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসে এই বিষয় নিয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হলেও এখনও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে কোন এক অপশক্তির কারনে চলছে অনিয়ম। দৈনিক লাখো কন্ঠের প্রতিনিধির সাক্ষাৎকার কালে ডাঃ রানার নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন তিনি ছাড়াও উক্ত অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বেশিরভাগ শেয়ার যার নামে রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাঃ মোঃ ইসমে আজম জিকো, তিনি সহকারি অধ্যাপক (নিউরোস্পাইন ও নিউরোসার্জারী) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। যার নাম দুদকের অভিযোগ লিষ্ট এ ঠাই পায় নি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের লাখো কন্ঠের প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ ইসমে আজম জিকো, তিনি সহকারি অধ্যাপক (নিউরোস্পাইন ও নিউরোসার্জারী) এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তাকে টানা তিন দিন হাসপাতালে উপস্থিত না পেয়ে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে আমাদের প্রতিনিধি। তিনি জানান, ঢাকা ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়াম এ এক সিরাজগঞ্জ জেলার ছাত্রদের নবীনবরন অনুষ্টানে তিনি ব্যস্ত আছেন। আমাদের প্রতিনিধি সেখানে গেলে অনুষ্ঠান শেষে তার সাথে সাক্ষাত করলে, তিনি বিভিন্ন কথার পৃষ্ঠে জানান, তার প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা উল্লিখিত অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে বিনিয়োগ করেছেন এবং আরো জানান এই অথেনটিক ডায়গনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডাঃ রানা। যেখানে সরকারি চাকুরিজীবীদের চাকুরি পেশায় যুক্ত থাকাকালীন অন্য কোন ব্যবসা বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০১৯ এর বিধি ১৭ অনুসারে নিষেধ রয়েছে, সেখানে ডাঃ রানা তাদের অথেন্টিক ডায়গনস্টিক সেন্টার এর মালিকানা আইনের অন্তর্ভুক্ত না বলে আখ্যা দেন। আসলে এসব কিছুই কোন অপশক্তির প্রভাব খাটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন এসকল অসাধু ডাক্তার।

চ্যানেল এস এর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্তজন গোপালগঞ্জের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদের গামার মালিকানাধীন চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একাধিক সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক এ ঘটনায় চ্যানেল এস কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে আহত সাংবাদিকরা।

সূত্র জানায়, ছাত্র জনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর, রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা ঋণ খেলাপি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান। গোপালগঞ্জের ইসমত কাদের গামা ও চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ’ বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারীর দোসর সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জন্য চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জনার উদ্দেশ্যে গত ৮ আগষ্ট একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাতজন সাংবাদিক তাদের অফিসে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষের একজন তাদেরকে একটি কক্ষে বসতে বলেন। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যানেল এস এর ভবনের ভিতরে অবস্থান করা প্রায় ৬০ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সাংবাদিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে উক্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেন।

এই ঘটনায় অহাত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে হাফিজুর রহমান শফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর জবানবন্দি ও বাদীর বিজ্ঞ আইনজীবী এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর শুনানির ভিত্তিতে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা শুমু চৌধুরী অভিযোগটি সরাসরি এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে আদেশ প্রদান করেন।
সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামিরা হলেন, ইসমত কাদের গামা, চেয়ারম্যান- চ্যানেল এস। পান্না ভাইস চেয়ারম্যান -চ্যানেল এস। মাইনুল ইসলাম -ম্যানেজিং ডিরেক্টর চ্যানেল এস। সুজিত চক্রবর্তী- সিইও চ্যানেল এস। সহ অজ্ঞাত ৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বার্তা প্রধান, শংকর মৈত্র
জয়েন্ট নিউজ এডিটর, টিএইচএম জাহাঙ্গীর এই হামলায় জড়িত ছিল বলে বাদী জানিয়েছেন।

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান শফিক বলেন, চ্যানেল এস মূলত ছাত্র জনতার আন্দোলনের গণহত্যার অন্যতম সহযোগী। গোপালগঞ্জের আওয়ামী নেতা চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তী, পান্না এবং মইনুল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে কাজ করত। সুজিত চক্রবর্তী নামের কর্মকর্তা মূলত র এর এজেন্ট। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর এসব অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করার কথা শুনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম