অভিনয়কে আমার নেশা ও পেশা করতে চাই- আহমেদ রাজিব

রাহিমা আক্তার মুক্তাঃ

রাজিববর্তমান সময়ের তরুণ অভিনেতা আহমেদ রাজিব, ব্যস্ত আছেন নাটকের শ্যুটিংয় নিয়ে।সম্প্রতিকাল তার অভিনিত “দি ডার্ক ফরেস্ট ২” নাটকটি ঘুড্ডি ইউটিউব চ্যানেলে চলে আসছে।

আহমেদ রাজিব একজন থিয়েটার কর্মী,নাগরিক নাট্যঙ্গন দলের সাথে বহুদিন ধরে মঞ্চে কাজ করছেন।আহমেদ রাজিবের শুরুটা কথা সাহিত্য দিয়ে,তারপর ধীরে ধীরে অভিনয়ে যুক্ত হোন।সম্প্রতিকালে তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু নাটকের স্ক্রীপ্টও লিখেছেন।তার লেখা স্ক্রীপ্টে ২০২২ সালে পরিচালক সুমন রেজা পরিচালনা করেন “দেবদাসের আঁকিকা” শিরোনামে একটি পর্ব নাটক।এটাছাড়াও তিনি অনেক গুলো এক ঘণ্টার নাটক লিখেছেন। সম্প্রতি সময় অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা সময় কাঁটাচ্ছেন।

আহমেদ রাজিবের সাথে কথা বলে জানা গেল, তার ধ্যান জ্ঞান অভিনয়ে।তিনি আরো বলেন,আমি মিডিয়া জগৎতে একজন অভিনেতা হতে এসেছি।অভিনয়টা তাই মন নিয়ে করতে চাই।অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্তদের হৃদয়ে হাজার বছর বেঁচে থাকতে চাই।ভক্তদের ভালোবাসা পাওয়া একজন অভিনেতার সফলতার সবচেয়ে বড় পুরুষ্কার।অভিনয় দিয়ে ভক্তদের হৃদয়ে বেঁচে থাকতে চাই।

দি ডার্ক ফরেস্ট ২ নাটকটি ঘুড্ডি ইউটিউব ব্যানারে নির্মিত হয়েছে।এর আগে দি ডার্ক ফরেস্ট ১ রিলিজ হয়েছিলো।নাটকটিতে একটা গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন।নাটকে তার চরিত্রের নাম জংলু।সম্পূর্ণ সাইকো একটা চরিত্র।চরিত্রটি ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টায়।রহস্য থেকে ঘোর রহস্য তৈরি করে জংলু চরিত্রটি।তিনি বলেন,এই রকম একটা চরিত্রে কাজ করা আসলেই তৃপ্তিকর।আমি এই ধরনের চরিত্র করতে চাই,যাতে ভক্তরা দেখে তৃপ্তি পায়।

দি ডার্ক ফরেস্ট ২ নাটকটি পরিচালনা করেছেন আরফিন রোমান।দ্বিতীয় পর্বের গল্প লিখেছেন আহমেদ রাজিব।ক্যামেরায় ছিলেন রমজান হোসেন পরশ। এছাড়া এতে অভিনয় করেছেন আহমেদ রাজিব,শরিফুল ইসলাম জয়,নুসরাত জাহান ঐশি,তন্নি,এসএম রিফাত,আর এইচ সীমান্তসহ আরো একঝাক তরুন অভিনয় তারকা।

আহমেদ রাজিব নাটকের পাশাপাশি বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন, অন্তর্বর্তী, কাঁটা,১৯৭১ সেই সব দিন সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। রায়হান রাফির ডার্ক সাইট অফ ঢাকা ওয়েবসিরিজে ছোট একটা চরিত্রের মাধ্যমের তার ওয়েব সিরিজে পথ চলা।তারপর মিজানুর রহমান লাবুর পরিচালনায় ওয়েবসিরিজ সিক্স ওর্য়াকার এ একটি গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তাছাড়া তার অভিনিত নাটক, সুধীর ভাই,দেবদাসের আঁকিকা,মাটির পুতুল,রসু খা সিনড্রোম,দি ডার্ক ফরেস্ট ১, ভাইয়ের প্রচুর আবেগ,কলকাতার গালফ্রেন্ড,টাকলা মুরাদ,বন্ধুর বোন প্রেমিকাসহ অসংখ্যাক নাটক।

অভিনয়টাকে আহমেদ রাজিব নেশা ও পেশা হিসেবে নিতে চান।এ জন্য সবার ভালোবাসা চান তিনি।তরুন অভিনেতা আহমেদ রাজিব স্বপ্নপথে এগিয়ে চলুক।

ভাসছেন তারা এখন প্রশংসায়

স্টাফ রিপোর্টার:

দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে অকুতোভয়ে লড়ে গেছেন এক ঝাঁক প্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এখন তারাই ভাসছেন সাধারণ মানুষের প্রশংসায়।

বিদেশে থেকেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা এমন কয়েকজন সাংবাদিদের মধ্যে অন্যতম মুশফিকুল ফজল আনসারী। মেধাবী এ সাংবাদিক গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশে-বিদেশে আলোচিত মুখ।

জাতিসংঘের সদর দপ্তর অথবা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে মুশফিকুল ফজল আনসারী দিনের পর দিন বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরতেন। তার করা প্রশ্নের জবাবে জানা যেত বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘ বা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।

মুশফিকুল ফজল আনসারী দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক প্রতিবেদক ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন এ মেধাবী সাংবাদিক। সম্পাদক ছিলেন জাস্ট নিউজ নামে একটি পোর্টালের। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

দেশে থাকার সময় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের হয়ে কাজ করতেন সাংবাদিক তাসনীম খলিল। এছাড়াও তিনি সিএনএনের স্ট্রিংগার এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরামর্শদাতা ছিলেন।

তাসনীম খলিল ২০০৬ সালে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে সুইডেনে আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক। গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ আওয়ামী লীগ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অপকর্ম তাসনীম খলিলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে কুখ্যাত আয়নাঘরের বিষয়টি তিনিই প্রথম সামনে নিয়ে আসেন। তাসনীম খলিলের অনুসন্ধানী রিপোর্ট তোলপাড় তৈরি করে।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি ব্যাপকভাবে আলোচিত ছিলেন কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার অনুসন্ধানি প্রতিবেদনের সূত্র হয়ে।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তার ভাইদের নিয়ে ‘ওরা প্রধানমন্ত্রীর লোক’ আল জাজিরার ওই প্রতিবেদন দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল।

দেশের বিভিন্ন আলোচিত ইস্যুতে সবসময় সরব থাকা জুলকারনাইন সায়ের খান সামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় অনলাইনে এ আন্দোলনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও তিনি বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে একাধিক গোপন তথ্য প্রকাশ করেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য সামি ও তার তদন্ত টিম ২০২২ সালে ‘বেস্ট হিউম্যান রাইটস জার্নালিজম’ বিভাগে অ্যামনেস্টি মিডিয়া পুরস্কার অর্জন করে।

গত কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত নাম পিনাকী ভট্টাচার্য। বর্তমানে ফ্রান্স নিবাসী পিনাকী একজন মানবাধিকারকর্মী। তীক্ষ্ণ ও ক্ষুরধার বক্তব্যের জন্য তার রয়েছে লাখো অনুরাগী। প্রবাসে থাকলেও দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে তিনি সবসময় সরব ছিলেন তিনি। তার ভিডিও বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অপকর্মের তীব্র সমালোচনা থাকত।

ড. কনক সারোয়ার ইউটিউবে টকশো করে সরকারের একের পর এক মুখোশ উন্মোচন করেছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার পরিবারের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। এরপরও পিছু না হটা কনক সারোয়ার আওয়ামী সরকারের দুর্নীতি আর অনিয়মের অনেক ঘটনা সামনে নিয়ে আসেন।

একসময় দেশে টিভি সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন ইলিয়াস হোসেন। বর্তমানে প্রবাসী এ অনুসন্ধানী সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়। তিনি অসীম সাহসিকতায় সরকারের দুর্নীতি আর অনিয়মের তথ্য প্রকাশ করে গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম নানা বিশ্লেষণাত্মক ভিডিও প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন। একই রকম বিশ্লেষণাত্মক ভিডিও করতেন আরেক প্রবাসী সাংবাদিক মনির হায়দার। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই দুই সাংবাদিকের অবদানও কম নয়।

ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভির নাজমুস সাকিব বরাবরই সরব ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তথ্যপ্রমাণসহ তার করা বিভিন্ন রিপোর্টে বিপাকে পড়ত দুর্নীতিবাজরা।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ছিলেন। বিশেষ করে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের একাধিক দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি তোলপাড় তৈরি করেন।

এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিজ্ঞানী ফাহাম আব্দুস সালামের বিশ্লেষনাত্মক নানা ভিডিও বেশ সাড়া ফেলে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তার বক্তব্য বিপুল আবেদন তৈরি করে।

প্রবাসী আরেক সাংবাদিক আব্দুর রব ভুট্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। সরকারের রোষানলে পড়ে তার পরিবারকেও হয়রানির মুখে পড়তে হয়।

অনলাইন অ্যক্টিভিস্টদের মধ্যে সাইফুর সাগর ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ এমন আরো অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য অকুতোভয়ে লড়ে গেছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম