উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ স্বতন্ত্র প্রার্থী বকুল মাষ্টার জনপ্রিয়তার শীর্ষে 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তারাকান্দা উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান সরকার বকুল মাষ্টার।

তিনি বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি প্রচারনার ও জনসংযোগ কালে সাধারণ মানুষের ঢল নামে, সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিগ্ধ হন তিনি।

জনসেবার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে ব্যাপক সু-পরিচিতি লাভ করেছেন এবং একজন উদীয়মান তরুণ ব্যবসায়িক, সমাজসেবক ও শিক্ষক হিসেবে। জনপ্রতিনিধি না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সাধারণ মানুষের সেবায়। সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করেছেন সাধারণ মানুষের। করোনার এই মহা দুর্যোগে শুরু থেকে তিনি তার সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে গেছেন। তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান তারাকান্দা বাসির জন্য।

স্থানীয় সাধারণ জনগণের সাথে কথা বললে তারা জানান, নুরুজ্জামান সরকার বকুল মাষ্টার তাদের সকল বিপদে এগিয়ে আসেন। রাত-দিন যখনই চাই আমরা তাকে পাশে পাই। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের স্বার্থে তরুণ সমাজসেবক সকলের প্রিয় বকুল ভাইকে নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।

আরো জানা গেছে, দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তার আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেস্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিবেদিত প্রাণ। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে মানুষের সেবা ও ব্যক্তিগতভাবে এলাকার অসহায়-গরীবদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বকুল মাষ্টার বলেন -আমি জনগণের শাসক নয় সেবক হয়ে থাকতে চাই। আমি নেতা হতে আসিনি,জনবান্ধব মানুষ হয়ে উপজেলার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে চাই। ভোটারগণের কাছে দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি৷ আমাকে যদি জনগণ তাদের পবিত্র ভোটে নির্বাচিত করেন তাহলে প্রথমে উপজেলার সকল রাস্তাঘাট নির্মাণ করবো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাবো। আমার উপজেলার অবহেলিত প্রতিবন্ধি, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তকারিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে ভাতার আওয়ায় আনার ব্যবস্থা করবো।

তিনি আরো বলেন সর্বোপরি বাল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূল ও একটি আধুনিক রোল মডেল উপজেলা হিসেবে তারাকান্দাকে রূপান্তর করবো, ইনশাআল্লাহ।

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকার প্রতিক নিয়ে মাঠে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রবীণ আ’লীগ নেতা এড.ফজলুল হক ,তিনি গত ৫ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

M. A. S HUMAYUN KABIR

কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক শত কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনে, দুদকে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন:

ধনকুবের খ্যাত প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ হিসাব রক্ষক আবু কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগে জমা পড়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে মোঃ ফজলুল করিম, দুর্নীতি দমন কমিশনে আবু কালাম আজাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে আবেদন করেছেন।

আবু কালাম আজাদ কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। চাকরির এক যুগের মাথায় হঠাৎ করেই তার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়ার ঘটনায় চোখ ছানাবড়া স্থানীয়দের। এই কর্মকর্তার চলাফেরা করেন দামি প্রাইভেট কারে। সর্বসাকুল্যে বেতন ৩০ হাজার টাকা। অথচ তার হাফ ডজন সহকারির বেতন এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। ড্রাইভারের বেতন ২০ হাজার টাকা। অথচ সল্প সময়ে তিনি কিভাবে গড়ে তুলেছেন এত সম্পদ তা যে কারও কল্পনারও বাইরে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক ধনকুবের খ্যাত আবু কালাম আজাদকে রাজবাড়ী জেলা শহরের বাণীবহ গ্রামের জমিদার অভিহিত করা হয়। ক্ষমতা ও টাকার দাপট এতটাই যে, সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশের পূর্বে রীতি অনুযায়ি বক্তব্য নিতে গেলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তার চাকুরীর বেতনের সহিত বর্তমান যে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাহা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। উক্ত সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হলোঃ গ্রামের নিজেদের ভাঙা টিনের ঘরের পাশেই প্রায় কোটি টাকা খরচায় ৮০ শতাংশ জায়গা কিনেছেন। সেখান থেকে অল্প একটু এগুলেই বাণীবহ বাজার। যেখানে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকায় কিনেছেন ১২০ শতাংশ জমি। তার ওপর নির্মাণ করেছেন ৮০টি পাকা দোকান। এর পাশেই ৮ কোটি টাকা দামের গরুর হাটটিও এখন আবুল কালাম আজাদের। কাছাকাছি ১০৬ শতাংশের আরও একটি জমি রয়েছে এই ধনকুবেরের।
এখানেই শেষ নয়, রাজবাড়ী জেলা শহরের শ্রীপুর বাজারের পাশে প্রায় ৮০ শতাংশ জায়গার উপরে গড়ে তুলেছেন একটি ফ্যাক্টরি। পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ভবানীপুর গ্রামে দোতলা একটা বাড়ি করেছেন তের শতাংশ জায়গার উপরে।
বিশ্বস্তসুত্রে জানা যায় যে, নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করা আছে। উক্ত এফডিআর এর পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। স্ত্রী নামে,সন্তানদের নামে -বেনামে কমবেশী ৫০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, আবুল কালাম শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। চতুর আবুল কালাম আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও আতীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। তার পরিবার ও আত্বীয় স্বজনের সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন।
তার সর্বসাকুল্যে বেতন ৩০ হাজার টাকা। অথচ তার ড্রাইভারের বেতন ২০ হাজার টাকা। এই কর্মচারির সম্পদ ও বিলাসী জীবন যাপন দেখে খোদ পরিষদের কর্মকর্তরাও অবাক। আবুল কালাম আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সাধারণ কর্মচারীগণ। এলাকার সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে রাজবাড়ীর একাধিক লোক আবু কালাম আজাদের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেছেন।এই পর্যন্ত দুদক কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী হতাশ।
অভিযোগের বিষয়ে, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের গিয়ে আবু কালাম আজাদকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম