ঘুর্নিঝড় মোখা : বেড়িবাঁধ না থাকায় দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা

 

মোসা:হাফসা আক্তার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকুলে আঘাত হানবে এমন খবরে আতংকিত দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠির নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের।জেলার রাজাপুর এবং কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর তীরে বড় একটি অংশে বেড়িবাঁধ না থাকায় দুশ্চিন্তার ভাজ পরেছে ঐ অঞ্চলের বাসিন্দাদের কপালে।
শনিবার (১৩মে) সকাল থেকে এ অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।প্রতিটি উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা সতর্কতামুলক মাইকিং শুরু করেছে।তবে জেলার নদীগুলোর পানি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।

রাজাপুর উপজেলার চর পালট এলাকা এবং কাঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর তীরে বেরীবাঁধ না থাকায় বিগত দিনও ঐ অঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছিলো।আর তাই ঘুর্নিঝড় “মোখা” আঘাত হানার খবরে বেরীবাঁধহীন এলাকার মানুষেরা বেশি আতংকিত।

এদিকে ঘুর্নিঝড় চলাকাকালীণ সময়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্ত্বা দিতে এবং ঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় করনীয় সম্পর্কে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করেছেন বলে জানা গেছে।তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এসব সভাকে আনুষ্ঠানিকই বলছেন নিম্মাঞ্চলের বাসিন্দারা।
কাঠালিয়ার লঞ্চ ঘাট এবং রাজাপুরের চরপালট গ্রামের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘প্রতি বছর ঘুর্নিঝড় আসলেই শুনি ডিসি এবং ইউএনও স্যারেরা মিটিং করে।কিন্তু ঝড়ের পরে আমাদের খোজ তারা নেয়না।পক্ষে ভোট না দেয়া ভোটারদের ঠিকমতো ত্রানও দেয়না চেয়ারম্যান মেম্বাররা।’
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন থেকে গনমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, জেলার ৪ উপজেলার ৬১টি স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার সহ ৩৬৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।সংকেত বাড়ার সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশ দেয়া রয়েছে।এছাড়া সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ, চাল, শুকনো খাবার ও ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে।’
সিভিল সার্জন এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানিয়েছে, জেলা সদরে দুটি এবং সকল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১ টি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।

ফের বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

অনলাইন ডেস্কঃ

নির্বাহী ক্ষমতা পাওয়ার পর মাসে মাসে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের যে আভাস দিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপে বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কথায়ও তার আভাস পাওয়া গেছে।

গত ১২ জানুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা ওই মাসের বিলেই কার্যকর হয়ে গেছে।

আবার বাড়ানো নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রত্যেক মাসেই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার কথা আমরা আগেই বলেছিলাম। আগামী মাসে বিদ্যুতের দাম আরেকবার সমন্বয় করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আর ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ নেই। এখন এভাবে সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই যেতে হবে। ’

তবে মাসে মাসে সমন্বয়ে দাম কমার সম্ভাবনাও থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আবার দেখা যাবে পরের মাসে জ্বালানির দাম কমে গেলে বিদ্যুতের দাম আবার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’

গত ১৮ জানুয়ারি সরকার শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দামও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বাড়তি দর আপাতত কার্যকর না করে আরও কিছুটা সময় নেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল।

আগে গণশুনানির মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করত বিইআরসি। সরকার আইন পরিবর্তন করে জরুরি প্রয়োজন গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের কাছে নিয়ে নেয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম