মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: উদ্ধারে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল

অনলাইন ডেস্ক:

মুন্সীগঞ্জের খিদিরপাড়া লৌহজং এলাকায় পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। রোববার (৬ আগস্ট) সকালে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন ডুবুরি দলের সদস্যরা।

রোববার (৬ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা।

তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। সকালে তারা অভিযানে অংশ নেয়।

শনিবার (৫ আগস্ট) বিকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে পিকনিকের একটি ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ডুবে যায় ট্রলারটি। এতে ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত ৮ জনের মধ্যে ২ শিশু, ৪ নারী ও ২ জন পুরুষ। আর এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ জনকে। ভারী বৃষ্টিতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে রাত ২টার দিকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিস। আজ সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে তারা।

শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৪ তরুণের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, বুধবার (৯ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনায় অপর একজনকে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতরা হলেন- রানা নায়েক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)। এরা সবাই শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান। এ ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ফিনলে কোম্পানির আওতাধীন হরিণছড়া চা বাগানে বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সব্যসাচী পাল তমাল বলেন, যে ৪ জনকে রাতে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিল তারা সবাই মৃত ছিল। পরে রবি বুনার্জী নামে একজনকে নিয়ে আসে, তাকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি। স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে জেনেছি, ওরা সেপটিক ট্যাংকে নেমেছিল। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম