লুটপাটে অর্ধকোটি টাকার সোলার প্যানেল অকেজো

কুমিল্লা প্রতিনিধি॥
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০১১ সালে ৪৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। কিন্তু স্থাপনের ১ বছর পের থেকে প্যানেলটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটা শুধু অভিযোগ নয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরেজমিন অভিযানেও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক  বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সোলার প্যানেল মেরামত না করে দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো অবস্থায় ফেলে রাখার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের কুমিল্লা অফিস থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযানকালে দুদক টিম দেখতে পায়, ২০১১ সালে ৪৯ দশমিক ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে ৮ দশমিক ৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। কিন্তু সোলার প্যানেলটি স্থাপনের ১ বছরের মধ্যেই প্যানেলটি অকেজো হয়ে গেলে সেটি মেরামতের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, প্রকল্পটিতে মোট ৩৬টি প্যানেল, ২৪টি ব্যাটারি ও ৩টি ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এগুলো সবই অকেজো অবস্থায় রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি প্রকল্প সমাপ্তির ২ বছর পর্যন্ত মেরামতের দায়-দায়িত্বে ছিল এবং প্রায় দুই বছরের মাথায় তাদের জামানত ফেরত দেওয়া হয়। রেকর্ড মোতাবেক পরবর্তী আরও ৪ বছর পর্যন্ত ওই কোম্পানি কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি মেরামত করে সচল রাখার কথা থাকলেও সেগুলো সচল রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে টিমের কাছে মনে হয়েছে।

অভিযানকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। টিম শিগগিরই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

উশৃঙ্খল মবটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছে, মিশনের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। ভারত সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী কূটনীতিকদের সুরক্ষা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সহিংস ঘটনার সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ত অবস্থান উক্ত ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের মৌন সম্মতির স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে। বিগত ২৮ নভেম্বরে কলকাতায়ও একই ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যা একটি বিপজ্জনক পরম্পরা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননাকর এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত উসকানিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃদ্বয় ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া, আজকের ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক দায়ীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য ভারত সরকার ও রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

সবা:স:জু-১৫৩/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম