প্রবাসে জমজমাট মাদক ব্যবসা সেনবাগের সাগর কাতার॥ মন্সীগঞ্জের মানিক সৌদি আরব

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ঢাকা থেকে কর্মস্থলে ফেরার সময় কুয়েত বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন ময়মনসিংহের নাজমুল। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। এটাই প্রবাসে সবচেয়ে বেশি মাদকসহ বাংলাদেশি আটকের ঘটনা। তবে আকারে এত বড় না হলেও গত কয়েক বছরে প্রায়শই প্রবাসে মাদক ব্যবসার দায়ে আটক হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। এক সৌদি আরবেই প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার দায়ে। সৌদি আরবের মতো আরব আমিরাত, জর্ডান, বাহরাইন ও কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ থেকে মাদক পরিবহনের তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশের তিন দূতাবাস থেকে মাদক ব্যবসায় প্রবাসীদের সম্পৃক্ততার বিষয় উল্লেখ করে ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অবশ্য শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়া নয়, ইউরোপের দেশ ইতালিতেও গত বছরের মাঝামাঝি ইয়াবাসহ আটক হয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী। দূতাবাস সূত্র জানায়, যে কোনো ধরনের মাদক গ্রহণ, পরিবহন ও বিক্রি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খুনের চেয়েও ভয়ঙ্কর অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু একশ্রেণির বাংলাদেশি কর্মী মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানিদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যেই মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ বাইরেও বিক্রি করছেন। ঢাকা থেকেই হাতে বা কার্গোতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গাঁজা বা ইয়াবা। মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা হাজারখানেক ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের গুটিকয় অপরাধীর জন্য ৫০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির কর্মস্থল মধ্যপ্রাচ্যে আরেক দফায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এর আগে নরসিংদী জেলার বাখরনগর গ্রামের মৃত জহির আলীর ছেলে শহিদ মিয়াকে মধ্যপ্রাচ্যে মাদক চোরাচালানের অন্যতম হোতা হিসেবে সরকারকে অবহিত করেছিল বাংলাদেশ দূতাবাস। শহিদ এখন কারাগারে। প্রতিবেদন পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, নতুন আসা বাংলাদেশিদের হাতে ঢাকা থেকেই ওষুধের প্যাকেটের ভিতর মাদক ঢুকিয়ে তা আবুধাবিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তিনি বাজারজাত করে আসছিলেন। পাকিস্তানিদের নিয়ে তিনি আবুধাবিতে একটা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। আর তার অপকর্মে অংশ নিতে বাধ্য করা হয় নতুন আসা কর্মীদের। শফিকুল ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর-বিবি-০৩৮৭২৫৩) নামে এক বাংলাদেশি আবুধাবি প্রবেশের সময় সেখানকার বিমানবন্দরের শুল্ক ও গোয়েন্দা দফতর তার কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করে। শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদেই পাওয়া যায় শহিদ মিয়ার তথ্য। আমিরাতের শহিদের মতো সৌদি আরবে মাদক পাচারের দায়ে কারাগারে আটক আছেন ইকবাল আলী। তার পাঁচ বছরের জেল ও ৫০০ বেত্রাঘাতের রায় হয়েছে। মাদক পাচারের অভিযোগে আটক রয়েছেন শামীম মোহাম্মদ ও আবু জাফর তনু। তাদের প্রথমে ওষুধ পাচারের দায়ে আটক করা হলেও পরে অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসে আসলে তারা মাদক পাচারে সম্পৃক্ত ছিলেন। দূতাবাসের প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় এ ধরনের ঘটনা ‘খুবই অপরিচিত’ মন্তব্য করে আরও বলা হয়, বাংলাদেশিদের এ ধরনের অপরাধে জড়িত হওয়ার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশে। এতে বাংলাদেশের সুনাম বহুলাংশে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর এসব মাদক ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট এই সিন্ডেকেটে রয়েছে নোয়াখালীর সেনবাগ খানা এলাকার এস এম সাগর যে কিনা কাতার এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে, আর মুন্সীগঞ্জের মোঃ মানিক হোসেন নিয়ন্ত্রন করে সৌদি আরব।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মাদক ব্যবসা করা এক ব্যক্তি আটক হন। তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, ওমানে ইয়াবা ব্যবহার ও চাহিদা বেড়েছে। তবে সেখানে মাদক পাওয়া এত সহজ নয়, কারণ এসব দেশ ইসলামিক নিয়মে চলে। ফলে প্রবাসীদের মধ্যে দেশ থেকে মাদক নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। আগে বেশি পরিমাণে গাঁজা পাঠানো হলেও এখন সবচেয়ে বেশি যায় ইয়াবা। কারণ পরিবহনে সুবিধা। প্রবাসী পরিচিত কেউ ছুটিতে দেশে এলে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের কাছে না জানিয়ে বা জানিয়ে বিভিন্ন ঠিকানার ব্যক্তিদের কাছে মাদক পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষত পিঠা, বিভিন্ন শুকনা খাদ্য ও আচারের ভিতর মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে দেন এসব চক্রের লোকেরা। সব থেকে আচারের ভিতর ইয়াবা ঢুকিয়ে দিলে বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে না বলেও ওই পাচারকারী জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এসব বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বেশ কিছু ‘ফ্রি ভিসা’র প্রবাসী। তারা কাজ না করে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য গোপনে প্রবাসেই ব্যবসা করছেন। প্রতি পিস ইয়াবা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে চার থেকে পাঁচগুণ দামে এক-দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

সাধনা মহল আওয়ামী দালাল ও সুবিধাভোগী

সবুজ বাংলাদেশ ডেক্স:

সাধনা মহল ফেসবুকে নিজেকে আওয়ামী-বিরোধী হিসেবে জাহির করলেও সে আওয়ামী সরকারের অতি ঘনিষ্ঠ ছিল। আওয়ামীবিরোধী বুলির আড়ালে সাধনা মহল একজন আওয়ামী দোসর এবং সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগীদের একজন।

সাধনার কমপক্ষে পাচজন প্রাক্তন স্বামীর একজন আওয়ামী সরকারের সবচেয়ে দূর্ণীতিগ্রস্ত এবং খুনী হাসিনার সবচেয়ে কাছের ব্যাক্তিদের একজন। হাসিনার ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কবীর বিন আনোয়ার ছিল সাধনা মহলের স্বামী। ভেরিফাই করতে চাইলে কবীর বিন আনোয়ারের স্ত্রী তৌফিকা কবিরের সাথে কথা বলুন। তৌফিকা কবিরের ফোনঃ ০১৭১০৮৭৬৩৪৫। সাধনা মহল তার স্বামী কবীর বিন আনোয়ারের টাকা এবং ক্ষমতার জোরে দাপট দেখিয়ে চলত। সাধনার রয়েছে কোটি কোটি টাকা। সে কোন কাজ না করলেও ঐ টাকার জোরে বিলাসী জীবন চালায়। মদ খায়। ফুর্তি করে। গুলশান ক্লাব, বারিধারা ক্লাব, বনানী ক্লাব, উত্তরা ক্লাবে ধনী ব্যবসায়ীদের সাথে তাঁর ওঠাবসা।

আওয়ামী সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাধনার বয়ফ্রেন্ড। বনানীর সারিনা হোটেলের পাশে নসরুল হামিদ বিপুর অফিসে ছিল সাধনার নিয়মিত যাতায়াত। খুনী হাসিনার পতনের পরে নসরুল হামিদ বিপুর অফিসের লোকেরা সাধনা-বিপুর সম্পর্কের কথা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে। নসরুল হামিদ বিপু সাধনার প্রাক্তন স্বামী কবীর বিন আনোয়ারের বাডি বা দোস্ত। তারা একসাথে ফূর্তি-মৌজ করত।

গুলশান ও বারিধারা ক্লাবের দুর্নীতিবাজ আওয়ামী-ক্রিম খাওয়া ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা সাধনার বয়ফ্রেন্ড। এমন একজন হল আওয়ামী ব্যবসায়ী গুলশানের এহসান এমদাদ (ফোনঃ ০১৭১৩০৩৮৬৫৯)যে কিনা খুনি হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ ছিল। বারিধারা ক্লাবে যাতায়াতের সূত্রে এক-এগারোর কুশীলব এবং সাবেক এমপি লেঃ জেঃ মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী সাধনা মহলের অতি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিতে পরিনত হয়। সাধনার আরেকজন বয়ফ্রেন্ড ব্যবসায়ী শাহীদ আলম (০১৭১১৫৬৮৪২৫) ঢাকা ঊত্তরের তথাকথিত মেয়র আতিকুল ইসলামের বেয়াই। এছাড়া রাষ্ট্র. সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসিবুদ্দীন হোসেন, দিদারুল ভুঈয়া, জাভেদ ইকবাল, মোস্তাকিম বিল্লা মাসুম, গনমুক্তি মঞ্চের নেতা সাকিব প্রত্যয় সহ বহু লোকের সাথে সাধনার অতি ঘনিষ্ঠতা আছে।

সাধনা মহল ১৯৯৬ সালে বিয়ে করে বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নুরুল মোমেন ভুইয়াকে (নুরুল মোমেন ভুঁইয়া; সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়; বিয়েঃ ১৯৯৬; সাধনা মহলের পরকীয়ার কারণে ডিভোর্স ২০০৬ সালে; ফোনঃ০১৭২৬৩১১০৩১)। কয়েক বছরের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙ্গে যায় সাধনার বেপরোয়া পরকীয়ার কারণে। ডিভোর্স হলেও বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে নুরুল মোমেন ভুইয়ার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায় করেন। নুরুল মোমেন ভুঁইয়ার বড় ভাই ত্যাগী বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম ভূইয়া ছোটনের সাথে কথা বললে সব জানতে পারবেন।

২০০৭ এবং ২০০৯ সালে সাধনা মহল দুটি অনানুষ্ঠানিক বিয়ে করে এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওইসব বিয়ের ডিভোর্স করে। ২০১০ সালে বিয়ে করে প্রাক্তন আর্মি অফিসার জাকির আহমেদ জাকির কে। সাধনার পরকীয়া সম্পর্কের কারণে অশান্তি সৃস্টি হলে ২০১৩ সালে সে নারি-নির্যাতনের মামলা দিয়ে জাকির কে জেলে পাঠায়। ৩০ লক্ষ টাকায় আপোষ করে জাকির রেহাই পায় (বিয়েঃ২০১০; সাধনা মহলের পরকীয়ার কারণে ডিভোর্স ২০১৩ সালে; জাকিরের ফোনঃ০১৭১৩৩৩০০২০; ০১৯১৯২৯২৫৪৭৪)। এই জাকির আহমেদ জাকির কাজ করত জেমকন-মীনা গ্রুপে।এই গ্রুপের একটি কোম্পানীর সিঈও ছিল। আওয়ামী দালাল কাজী শাহেদ আহমেদের খুব-ই কাছের লোক ছিল এই জাকির আহমেদ জাকির।

২০১৮ সালে আওয়ামী-ঘনিষ্ঠ কর্নফুলি গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামে এক ব্যাবসায়ীকে বিয়ে করে সাজানো নারী-নির্যাতন মামলা দিয়ে সাধনা হাতিয়ে নেয় ৬০ লক্ষ টাকা (ইঞ্জিনিয়ার রশীদ, সদস্য, বারিধারা ক্লাব, বারিধারা, ঢাকা; এবং জাহাজ শিল্প ও পানিসম্পদ বিষয়ক ব্যবসায়ী)। এছাড়া সাধনা বদরুল ইসলাম খান (পিতাঃ মৃত এম এ হান্নান, বাড়ীঃ ১২৮, এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেট থানা, ঢাকা) নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেছিল বলে জানা গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা থেকে পাওয়া সুত্রে, সাধনা মহল গোবিন্দ বর নামে এক মালুকে বিয়ে করে টাকা আদায় করতে না পেরে তাঁর সাথে মামলায় জড়িয়েছে।ব্যাপারটা এত নোংরা পর্যায়ে গেছে যে আমি সাধনার সাথে কখনো যুক্ত ছিলাম একথা ভাবতেও লজ্জা লাগছে।একজন মুসলমানের সন্তান হয়ে কেন একজন মালাউন কে বিয়ে করতে হয়। বিয়ে করে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করা সাধনার ব্যবসা। এইকারনে সে একা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে আর ফাঁদে ফেলে টাকা উপার্জন করে। রাজনীতি হল তাঁর ছদ্মবেশ। ভারত বিরোধিতার কথা মুখে বল্লেও সাধনা ভারতের র’ এর দালাল। ভারতের র’ এর লোক সুবীর ভৌমিকের সাথে সাধনার সম্পর্ক দেখেই বোঝা যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম