গাবতলীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাকের পার্টির শিশির কর্তৃক সম্পাদককে হুমকি-ধামকি

বিশেষ প্রতিনিধি:

রাজধানীর গাবতলী এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা ও কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব নিয়ে ইতিমধ্যে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকায় উল্লেখযোগ্য তথ্য সম্বলিত কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করার পরে দায়িত্বরত থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ওদিকে একদল মাদক চক্রের ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবার কথা জানা যায় কিন্তু পক্ষান্তরে ওই অসাধু চক্র দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার উপর ক্ষেপে যায় এবং তাদের হোতারা পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ও সম্পাদককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দেয়া শুরু করে এবং তা এখনও চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য যে গাবতলীর মাদক সিন্ডিকেটের একজন অন্যতম হোতার নাম শিশির। তথ্যমতে শিশিরের মূল ব্যবসাই হচ্ছে মাদক আর কিশোর গ্যাং প্রতিপালন‌ই তার আসল লক্ষ্য। জানা গেছে মাদক ব্যবসা করে আজ সে অনেক টাকার মালিক। টাকার বিনিময়ে এমনকি শিশির ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র‌ত্ব‌ও কিনেছেন। জাকের পার্টির ক্যাডার থেকে মাদক ব্যবসা নামে বেনামে জায়গাজমি ক্রয়সহ সে একাধিক স্থানে গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী বাহিনী আর এ বিষয়ে প্রতিবেদক মিরপুর গাবতলীএলাকায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গেলে এই শিশির ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপ হুমকি ধামকি সহ ধাওয়া প্রদান করে উক্ত স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করলেও সাংবাদিককে থামাতে না পারায় আজ শিশির দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদকের মোবাইলে আজেবাজে ম্যাসেজ দেয়া সহ দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে।

সম্পাদক জানিয়েছেন, এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ -এর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, “তথাকথিত জাকির পার্টির নেতা, মাদক ব্যবসায়ীর হুমকি ধমকিতে থামিয়ে রাখা যাবেনা সবুজ বাংলাদেশের লেখাকে। স্তব্ধ করে দেওয়া যাবেনা সবুজ বাংলাদেশের প্রতিবাদী কলমকে। ইতিপূর্বেও বহু হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে কিন্তু থামানো যায়নি, আর কখনো থামানো যাবেও না ইনশাআল্লাহ। সবুজ বাংলাদেশের কলম তার আপন গতিতেই চলবে।

তিনি আরো বলেন, “আমরা স্বাধীনতার কথা বলি। এ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমরা সমাজের সকল মানুষের সামনে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করি এবং আজীবন করবো। কোনো
হামলা আর মিথ্যা মামলার ভয় আমরা করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক মাসুদ জীবনের নিরাপত্তার জন্য এঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে তিনি জানান।

কারাগারে ১০ টাকার ওষুধ ১০০ তে সাপ্লাই দিতেন

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লার  আবু জাহের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঠিকাদারি করে দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। কুমিল্লা জেলখানায় ঠিকাদারি কাজ পেয়ে করেছেন ব্যাপক দুর্নীতি। জেলখানার ভেতরে ১০ টাকার ওষুধ ১০০ টাকায় সাপ্লাই দিয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কুমিল্লা শহরে নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ তলা বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য ২০ কোটি টাকা। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে ৭ জানুয়ারি হাসিনার তথাকথিত নির্বাচনে

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাক্ষণপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আবু জাহের ও তার ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী, পুত্রের নামেও রয়েছে অনেক সম্পদ। শেখ হাসিনার পতনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
জাহেরের ছেলের নামে রয়েছে দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ি, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ কোটি টাকার মূল্যে বিলাসবহুল গাড়ি, নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে কসবা নয়নপুর রোডে মল্লিকা সিএনজি ও ফিলিং স্টেশন ১২০ শতক জায়গার ওপর গড়ে তুলেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকা।

প্রথমে এই এমপি রাজনীতি না করলেও আপন বড় ভাই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলার নেতা। তখন কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন খসরু। যিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তখনো আবু জাহের রাজনীতি করেননি। আবু তাহের উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন মারা যান। ভাইয়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসেন আবু জাহের। প্রথমে তিনি হন উপজেলা চেয়ারম্যান। পরে আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর তার জায়গা খালি হয়। তখন তিনি কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচনে কেটলি মার্কা নির্বাচন করে এমপি হন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় অনিয়ম করে এমপি হন আবু জাহের। আর এসব কিছু হয়েছে ভাতিজা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপির মাধ্যমে। তার এমপি হওয়ার পেছনে কাজ করেছেন কুমিল্লার সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে এলাকায় কেউ সাহস পেত না।
অপির সখ্য ছিল সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মন্ত্রীর হাত ধরে আবু তৈয়ব অপি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন নিজের নামে ও স্ত্রী, ভাইয়ের নামে সম্পদের পাহাড়। কুমিল্লা রয়েছে বাগিচাগাঁও এলাকায় ২০ শতক জায়গার ওপর ১০ তলা বাড়ি। নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে বিলাসবহুল গাড়ি। চাচা আবু জাহের এমপি হওয়ার পর নিজে হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যান।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাগিচাগাঁও বাসায় গেলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাড়ির কেয়ারটেকার বলেন, সরকার পতনের পর থেকে আবু জাহের এমপি মহোদয় ও আবু তৈয়ব অপি আর বাসায় আসেননি। বাসায় তালা রয়েছে। তবে ১০ তলা বাড়ির ভাড়াটিয়া আছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের