আবারও আদ দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর জুরাইনের আদ-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় (রাব্বি ২৬) এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১ মাস পেটে ব্যথা নিয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে আসলে সেখানে ডাক্তার তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান তার পিত্তথলির মধ্যে পাথর হয়েছে। এবং এটা অপারেশন করলে সে সুস্থ হয়ে যাবে।

পরবর্তী তে ডাক্তার রোগীর স্বজন কে জানান পরবর্তী (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে আসলে তার চিকিৎসা করা হবে। পরে (রাব্বি ২৬) কে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে পুনরায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখান এবং ডাক্তার বলেন তাকে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে পরে স্বজনরা অপারেশন এর টাকা যোগাড় করেন এবং মঙ্গলবার তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করেন তার কিছুক্ষণ পরে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং তার পরেই তারা তাদের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স করে রোগী কে তাদের মগবাজার শাখার আদ-দ্বীন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।পরে সেখানের কর্তবরত ডাক্তার (রাব্বি ২৬) কে মৃত ঘোষণা করেন।

রাব্বির বড় ভাই মো.রাসেল (৩৫) আমাদের কে জানান, রাব্বি কে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পরে তাকে যখন ইনজেকশন পুশ করেন তার কিছুক্ষণ পরেই রাব্বির অবস্থা খারাপ হয়ে পরেন তখন তারা তড়িগড়ি করে তাকে চিকিৎসা দিলে এক পর্যায়ে তার ভাই মৃত্যু বরণ করেন। ডাক্তার মো.জাহাঙ্গীর রাব্বির পরিবারদের কিছু বুঝতে না দিয়ে বলেন, মগবাজার আদ দ্বীন হসপিটালে নিয়ে যান তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাব্বি কে মগবাজার আদ দ্বীন হসপিটালে রেফার করা হলো। এমতাবস্থায় রাব্বির পরিবার তাকে আদ দ্বীন হসপিটাল মগবাজার শাখায় নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বলেন রাব্বি অনেক আগেই মারা গিয়েছেন মগ বাজারের আদ দ্বীন হসপিটালের ডাক্তারের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাব্বির পরিবার বর্গ। এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় রাজধানীর জুরাইনে অবস্থিত আদ দ্বীন হসপিটালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রায়ই অনেক শিশু ও বয়স্ক মানুষের জীবন হারাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান কয়েক মাস আগে একটা ১৬ দিনের বাচ্চা ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় এবং বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে এই বিষয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন রুগী তো হাসপাতালে মরবেই কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলে প্রশাসন এই বিষয় দেখবে। এবং সংশ্লিষ্ট সবাই বিষয়টি স্বীকার করেও বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ।

মৃত রাব্বির বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান তার ছেলে নিয়মিত নামাজ কায়েম করেন এবং ইসলামীক নিয়ম-কানুন মেনে চলাফেরা করেন। আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটের সময় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় বলে জানান রাব্বির পরিবার বর্গ।

এই বিষয়ে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছ থেকে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, ” আমি শুনেছি ডাক্তার অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে কোন হামলার ঘটনা দেখি নি। তবে শুনেছি ডাক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক”। পরে অভিযোগ না থাকায় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। ভুক্তভোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ডিএনসিসিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন এজাজ, শওকত ও আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্স সেন্টার এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ এজাজ মৃত হাজী মফিজুর রহমান ভূইয়ার পুত্র। শেরে-বাংলা নগর থানার ২০১৪ সালের জিআর ২৩৫/১৪ মামলায় মোঃ এজাজ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কর্মী মর্মে আট নাম্বার আসামি । ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবের পরে ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলে ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মোঃ এজাজকে দুই বছরের জন্য ডিএনসিসির প্রশাসক হিসেবে সুপারিশ করেন । গুঞ্জন রয়েছে চল্লিশ কোটি টাকার বিনিময়ে এই পদ বাগিয়ে নিয়েছেন মোঃ এজাজ, কিন্তু এর কোন প্রমাণ পাওয়া না গেলেও প্রশ্নের শেষ হয়নি।

 

২৯ মে ২০২৫ তারিখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ। অবস্থান কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘ডিএনসিসির প্রশাসক হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর সদস্য এজাজকে নিয়োগ দিয়ে সরকার মূলত জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ শওকত ওসমান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।  অস্বভাবিক ক্ষমতাধর এই সিন্ডিকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অনিয়ম, নানা দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে ডিএনসিসির ‘টপ টু বটম’ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।  ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

 

অভিযোগ রয়েছে আরিফুর রহমানের নিয়ন্ত্রণে চলছে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি, দায়িত্ব প্রদান,বদলি, নিয়োগ বাণিজ্য ছাড়াও ডিএনসিসিতে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার, বড় বড় ক্রয়, গাবতলী পশুর হাটসহ অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাটের ইজারা । এবং সরকারি সম্পত্তি দখলকারীদের বহাল তবিয়তে থাকতে সহযোগিতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতাচ্ছেন প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ শওকত ওসমান। আর এই সকল অপকর্মের সুরক্ষা দিচ্ছেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

 

মোহাম্মদপুরে সরকারি খালের জমি দখল করে একাধিক ভবন নির্মাণের তথ্য ডিএনসিসিকে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ প্রদান করলেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। পরে গভীর অনুসন্ধান করে দেখা গেছে এর পিছনে মোটা অংকের লেনদেন হয়েছে। ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখে “রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এই ভবনের  মালিকদের সুরক্ষা দেয়ার শর্তে সার্ভেয়ার রবিউলের মাধ্যমে মোঃ এজাজ ও শওকত কোটি টাকার ডিল করেছেন মর্মে তথ্য রয়েছে।

 

ডিএনসিসির এক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের ইচ্ছের বাইরে এখানে কিছুই হচ্ছে না।  বোর্ড সভায় তার পিছনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আরো বলেন, সরকারের আইন বিধির  লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয় গুলো প্রশাসক স্যার কৌশলে এরিয়ে যান। এর বেশি আর কোন কথা বলতে রাজি নয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আখঁড়ায় পরিনত করেছেন।  ইতোমধ্যে সরকারের আইন ও বিধি অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মতো সব কিছু করে যাচ্ছেন।  এমনকি কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্ধারিত বোর্ড সভার সিন্ধান্তকেও আমলে নেয়া হয় না।

 

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সাথে আলোচিত অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চাইলে, তিনি তার স্টাফের মাধ্যমে জানিছেন, কোন কথা বলবেন না। বর্তমানে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ শওকত ওসমান ও প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনোভাবেই তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি