ভুল ত্রুটি ক্ষমা চেয়ে আবারও নৌকার মাঝি হতে চান ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী

 

চৌহালী প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়ন পরিষদের পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ভুল ত্রুটি ক্ষমা চেয়ে আবারও নৌকার মাঝি হতে চান উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বারবার নির্বাচিত ঘোরজান ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী।

গতকাল সোমবার বিকেলে ঘোরজান ইউনিয়নে ফুলহারা বাজারে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরোও বিগত পাঁচ বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ঘোরজান ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করব। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আবু বক্কারের সভাপতিত্বে, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেনের সঞ্চালনায়, পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঘোরজান ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন, থানা আ’লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ‌আলম মল্লিক। ঘোরজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, মুরাদ পুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইফুল মুরাদী, ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি বাহারুল মেম্বার, সম্পাদক শাহিন সিকদার। ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মোকলেছুর রহমান, সম্পাদক আঃ হাই। ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক আফসার আলী। ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আঃ করিম মুন্সি, সম্পাদক আলমগীর মুন্সি। ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আঃ লতিফ, সম্পাদক আঃ র‌উফ মেম্বার। ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মোস্তফা তালুকদার, ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক আঃ ওয়াজেদ আলী। সাবেক ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ছোবান সিকদার। ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চান উল্লাহসহ হাজারো জনতা।

বরুড়ার হুরুয়ায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

বরুড়ার হুরুয়ায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

মোঃ মহিবুল্লাহ্ ভূঁইয়া, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ

বরুড়া, বরুড়া পৌরসভার হুরুয়া এলাকায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগকারী হুরুয়া এলাকার মোঃ আবুল হোসেন (ভুতু) তার অভিযোগে বলেন, হুরুয়া মৌজার আর এস ৪৩ নং খতিয়ান ভুক্ত সাবেক ৩৫নং দাগে অভিযোগকারীর নানী কট বানু এবং খালাম্মা আনোয়ারা বেগম, আম্বিয়া বেগম, জমি বিক্রয় করার পর ১৮.৫০ শতক জমি অভিযোগ কারীর মা রেনু বিবি পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হইয়া দখলে বিদ্যমান আছে। কিন্তু অভিযোগ কারী কাজের সুবাদে বাড়িতে না থাকিলে অভিযোক্ত মোঃ নাজির পিতা- মৃত হায়দার আলী, মোঃ সোবহান – পিতা – অজ্ঞাত, মোঃ শাকিল – পিতা শিব্বির, রানু বেগম – স্বামী মোঃ শিব্বির, মোর্শেদা বেগম – পিতা- নজির আহমদ, সুমি আক্তার – পিতা আবদুর রহমান, গং রা বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ কারীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি প্রদান, বাড়িঘর ভাংচুর এবং মারধরের করার ঘটনা ঘটেছে।

এ সমস্থ বিষয়ে বহুবার স্থানীয় শালিস বৈঠক হলেও অভিযুক্তরা কোন প্রকার সমাদান মান্য না করিয়া, অভিযোগ কারীর তফশিল ভুক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক করার ব্যর্থ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

অভিযুক্তরা ২০০১ সালে বিজ্ঞ আদালত কুমিল্লা তে একটি মোকদ্দমা দায়ের করে যার নং ২১১৯/২০০১। মোকদ্দমা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালত ২০২০ সালে অভিযোগ কারী আবুল হোসেন (ভুতু) দের পক্ষে রায় প্রদান করে। রায় ঘোষণার পরও অভিযুক্তরা অভিযোগ কারী তফশিল ভুক্ত জমি দখলের চেষ্টা করছে এবং অভিযোগ কারীর ঘর দরজা ভাংচুর করে ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১-০৫- ২৫ তারিখে রাত আনুমানিক আটটার সময় অভিযুক্তরা তফশিল ভুক্ত সম্পত্তির বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযোগ কারীর বসতবাড়িতে আসিয়া অকত্য ভাষায় গালমন্দ করেবএবং লাঠি ও দেশীয়, অস্র নিয়ে অভিযোগ কারী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের চেষ্টা করে, এ সময় তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে।

এ সময় অভিযোগ কারী আবুল হোসেন ভুতু সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের বিচার দাবি করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম